সালাউদ্দিন কাদের ও মুজাহিদের মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল
একাত্তরে মানবতাবিরোধী মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের করা রিভিউ খারিজ করে মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রাখা হয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সালাউদ্দিন কাদেরে চৌধুরীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যুক্তি তুলে ধরেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে মুজাহিদের রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষ হয়। মুজাহিদের পক্ষে খন্দকার মাহবুব হোসেন ও রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন।
বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর করা রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয়।
এর আগে মঙ্গলবার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রিভিউ আবেদন শুনানির নির্ধারিত দিন থাকলেও প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ‘নট টুডে (আজ নয়)’ বলে আদেশ দেন।
সেই মোতাবেক আজকের কার্যতালিকায় তার রিভিউ আবেদনের বিষয়টি ৩ নম্বরে স্থান পায়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রেখে আপিল বিভাগ থেকে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এর ১৪ দিনের মাথায় ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন তিনি।
২০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন চেম্বার আদালত রায় পুনর্বিবেচনার ওই আবেদন শুনানির জন্য ২ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।
পরে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির দিন ১৭ নভেম্বর পুনর্নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ।
এদিকে একই দিন ৩০ সেপ্টেম্বর জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদের মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রেখে আপিল বিভাগ থেকে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
এর ১৪ দিনের মাথায় ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন জামায়াত নেতা মুজাহিদ।
২০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন চেম্বার আদালত পুনর্বিবেচনার আবেদন শুনানির জন্য ২ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছিলেন। পরে আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির দিন ১৭ নভেম্বর পুনর্নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ।
২০১৩ সালের ১৭ জুলাই মুজাহিদকে ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।