নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করলেন লুৎফুর রহমান
ভোটিং প্রতারণারসহ নানা অভিযোগে হাইকোর্টে দোষি সাব্যস্ত হওয়ার পর কোর্ট এবং তার বিরুদ্ধে কোর্টে পিটিশন দাখিলকারীদের আইনী খরচ পরিশোধে হিমশিম খাওয়া টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমান এবার নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছেন। পিটিশন দালিখকারীদের আইন ব্যয় পরিশোধের বিষয়টি নিয়ে আগামী মাসে হাইকোর্টে একটি শুনানির কথা রয়েছে। তার আগেই নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করলেন টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান। বুধবার ইন্ডিভিজুয়েল ইনসলভেন্সি সার্ভিসের একটি ডকুমেন্টে মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান ক্যারেন্টলি ব্যাংক্রাপ্ট বলে উল্লেখ করা হয়।
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক লেবার লিডার লুৎফুর রহমান ২০১০ সালের অক্টোবরে টাওয়ার হ্যামলেটসের প্রথম নির্বাহী মেয়র এবং পুরো ইউকের মধ্যে প্রথম মুসলিম নির্বাহী মেয়র নির্বাচিত হন। লেবার পার্টির সঙ্গে দলীয় প্রার্থীতা নিয়ে আইনী লড়াইয়ের পর ২০১০ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লেবার প্রার্থীকে পরাজিত করেন লুৎফুর রহমান। দ্বিতীয় দফায় ২০১৪ সালের মে মাসের নির্বাচনেও তিনি লেবার প্রার্থীকে পরাজিত করে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর ভোট জ্বালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন বারার ৪ ভোটার। এ পিটিশনের জেড় ধরে ইলেকশন কোর্টের চুড়ান্ত রায়ে চলতি বছরের ২৩শে এপ্রিল নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমানকে ৭টি অভিযোগে অভিযুক্ত করে রায় দেয়া হয়। একই সঙ্গে বাতিল করা হয় ২০১৪ সালের মেয়র নির্বাচন। এছাড়া পিটিশনারদের ৫শ হাজার পাউন্ড লিগ্যাল খরচ পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয় রায়ে। এ অর্থ পরিশোধে বিলম্বের কারণে কোর্ট থেকে এর আগে লুৎফুর রহমানের সম্পত্তি ফ্রিজের নির্দেশও দেন হাইকোর্ট। সম্পত্তি ফ্রিজ এবং লিগ্যাল খরচ পরিশোধের ব্যাপারে হাইকোর্টে একটি রিভিউর আবেদন করেছেন সাবেক মেয়র লুৎফুর রহমান। আগামী ১লা ডিসেম্বর হাইকার্টে এ আবেদনের শুনানির কথা রয়েছে। এর ভেতরেই বুধবার সাবেক মেয়র নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছেন বলে খবর বেরিয়েছে। দ্যা ইন্ডিভিজুয়াল ইনসলভেন্সি সার্ভিসের ওয়েবসাইটে মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানের টাওয়ার হ্যামলেটসের ই ওয়ানের ঠিকানা উল্লেখ করার পাশাপাশি তিনি লুৎফুর রহমান নামে পরিচিত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
ইউকের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করলে তাঁর নামে থাকা সব ঋণ বাতিল হয়ে যায়। তবে এ কারণে ওই ব্যক্তির ক্রেডিট রেকর্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তা কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ দিন লাগে।