মালয়েশিয়ার মিয়ানমার শিবিরে ওবামা

Obamaমার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, বিশ্বকে অবশ্যই শরণার্থীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় তৈরি করে দিতে হবে। সিরিয়ার শরণার্থী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তিক্ত ও বর্ণবাদী বিতর্কের মধ্যে শনিবার মালয়েশিয়ার একটি বাস্তুচ্যুত শিশুদের কেন্দ্র পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
কুয়ালালামপুরে ডিগনিটি ফর চিলড্রেন ফাউন্ডেশন পরিদর্শনকালে ওবামা সাত থেকে নয় বছর বয়সী শিশুদের সঙ্গে হাঁটু গেড়ে কথা বলেন। তিনি তাদের শিল্পকর্ম সম্পর্কে জানতে ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আশার কথা শোনেন। কেন্দ্রটিতে থাকা বেশিরভাগ শিশুরা হল মিয়ানমারের দমনপীড়িত রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য।
ওবামা পরে বলেন, ‘আমি যখন তাদের পাশে বসেছিলাম ও তাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম তখন তারা ছবি আঁকছিল ও অঙ্ক করছিল; আমেরিকার শিশুদের সঙ্গে তাদের কোনো পার্থক্য নেই।’
এসব শিশু আমার সন্তানের মতো এবং তারা ভালোবাসা, সুরক্ষা, স্থিতিশীলতা ও শিক্ষার সুযোগ পাওয়ার দাবি রাখে। তিনি বলেন, তারা বিশ্বের কাছে সুরক্ষা ও বিশ্বের সহায়তা চাইতে পারে।
তবে সিরিয়া ও ইরাকের মুসলিম শরণার্থীদের গ্রহণের জন্য সুপারিশ করায় নিজ দেশে ওবামা প্রশাসন সমালোচনার মুখে পড়েছে।
অনেকে এসব শরণার্থীদের ‘উন্মাদনা’ ও ‘অ-আমেরিকান’ হিসেবে বিরোধিতা করছে। তবে হোয়াইট হাউস তা নাকচ করে দিয়েছে। এছাড়া অনেক ডেমোক্রেটিক মিত্রের সন্দেহ, শরণার্থীদের সঙ্গে ভয়ংকর জিহাদিরা পালিয়ে আসতে পারে। কিন্তু হোয়াইট হাউস তাদের আশংকা দূর করে শরণার্থীদের পাশে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এক কন্যাশিশুকে শুভেচ্ছা ও তার সঙ্গে হাত মেলানোর পর ওবামা তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি কি ইংরেজি শিখছ? তুমি কঠোর পরিশ্রম করছ।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার মতো শিশুরা শুধু মিয়ানমারের শরণার্থীদের মুখচ্ছবি তুলে ধরে না, তাদের মধ্যে সিরিয়া ও ইরাকের শিশুদেরও মুখচ্ছবি ফুটে ওঠে।’
যতক্ষণ পর্যন্ত কঠোর স্ক্রিনিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা না হচ্ছে ততক্ষণ যুক্তরাষ্ট্রে সিরিয়া ও ইরাকের শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ওপর বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটি হয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button