জেল থেকে মুক্তি পেয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দেখে বিস্মিত বৃদ্ধ
পুলিশ অফিসারকে হামলা ও হত্যার চেষ্টায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২৫ বছর বয়সে জেলে যান ওটিস জনসন। আর ৪৪ বছর হাজতবাসের পর ৬৯ বয়সী ওটিস জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। কিন্তু জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাইরে বেরিয়ে যারপরনাই অবাক ও বিস্মিত হয়েছেন তিনি। বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির উৎকর্ষতা আমাদের জীবনে যে তুমুল পরিবর্তন এনেছে তা দেখেই তার এই বিস্ময়।
জনসন সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে এক সাক্ষাতকারে জানান, ‘আমি টাইমস স্কয়ারে থামলাম এবং চারিদিকের পরিবেশ দেখলাম। নতুন কিছু ঘটে গেছে এখানে।’
জনসন বলেন, ‘আমি দেখলাম বেশিরভাগ মানুষই তাদের সাথে কথা বলছে। তারপর আমি খুব কাছ থেকে দেখলাম তাদের কানে কিছু একটা ধরা আছে। আমি জানি না ওটা কি, তারা ওটাকে আইফোন বলছিল। তখন আমি মনে মনে ভাবছিলাম, সবাই কি গোয়েন্দা অথবা এজেন্ট হয়ে গেল। কেউ কেউ কানে তার লাগিয়ে ঘোরে তাহলে আমি সেটিই ভাববো। কারণ ৬০ অথবা ৭০’র দশকে পরিস্থিতি এরকম ছিল না।’
টাইমস স্কয়ারের রাস্তায় চলা ফেরার সময় এখন মানুষ কোথায় যাচ্ছে তা খেয়ালও করছে না। তারা কেবল নিচের দিকে তাকিয়েই হাঁটছে বলে জানান জনসন। তিনি বলেন, ‘মানুষজন ফোনে কথা বলতে বলতে হাঁটছে কিন্তু তারা কোন দিকে যাচ্ছে তা খেয়ালও করছে না, আমি বোঝার চেষ্টা করছি তারা এটা কীভাবে করছে। এটা আমার কাছে খুবই মজার লাগছে।
এমনকি মুদি দোকানগুলোও তার কাছে এলিয়েনের মত হয়ে গেছে। জনসন বলেন, ‘আমি এখন ভিন্ন খাবার খাই। মুদি দোকানগুলোতে থাকা এইসব আনকোরা পণ্যগুলোর দিকে আমি অপলক চেয়ে থাকি। আমি এখন প্রতিনিয়ত নতুন কোন খাবার খেয়ে থাকি। হাস্যকর সব খাবার, ভিন্ন ভিন্ন রঙের পানীয়। আপনারা এটাকে কী বলেন যেন? গোলাপী, নীলসহ সব ভিন্ন ভিন্ন রঙের পানীয়গুলো। আমি প্রায় সময় এইগুলো পান করি কারণ আমার কাছে এগুলো দেখতে হাস্যকর লাগে।’