আত্মরক্ষার কোর্স করছেন টরেন্টোর মুসলিম নারীরা
সম্প্রতি প্যারিসের হামলার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন মুসলিমরা। কানাডার কয়েকটি ঘটনা ইতোমধ্যেই মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে। হিজাব পরা নারীরা এই আক্রমণের শিকার হন বেশি।
দিন কয়েক আগে টরেন্টো শহরের ফ্লেমিংডন পার্কে এক নারী হামলার শিকার হন। সন্তানকে স্কুল থেকে আনতে যাওয়ার সময় দুই ব্যক্তি তাকে পিটিয়ে আহত করে তার সব জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া রাস্তায় আরো দু’জন নারীকে অসম্মান করা হয়।
এরপর থেকেই সেখানকার মুসলিম বাসিন্দাদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই আত্মরক্ষার জন্য বিভিন্ন ক্লাসে যোগ দিচ্ছেন নারীরা।
১৭ বছর বয়সী ওলা মোবারক আত্মরক্ষার কোর্স করছেন তার কলেজের পাশে ‘ওয়েন-ডো ওমেন্স সেলফ-ডিফেন্স’ থেকে। এটি কানাডার সবচেয়ে পুরনো সেলফ ডিফেন্স অর্গানাইজেশন। যেখানে শুধুমাত্র নারীদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো হয়।
ওলা বলেন, ‘আমি আত্মরক্ষার কোর্সে ভর্তি হয়েছি। কারণ আমি ভিকটিম হতে চাই না।’
সে আরো জানায়, কয়েকজন মুসলিমবিদ্বেষী অথবা ধর্মান্ধ আমার জীবনে হস্তক্ষেপ করছে। তাই আমার নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমাকেই করতে হবে।
আত্মরক্ষার কৌশল শিখছেন মরিয়ম ভাহেদ নামে আরেক তরুণী। সে জানায়, আমি কারাটে জানি অনেক আগে থেকেই কিন্তু এই কোর্সে আত্মরক্ষার কৌশল ছাড়াও আরো অনেক কিছুই শেখানো হচ্ছে।
‘ওয়েন-ডো ওমেন্স সেলফ-ডিফেন্স’ সেন্টারে আত্মরক্ষার কৌশল শেখান আরিজ ইলমি। হিজাবধারী এই আত্মরক্ষার প্রশিক্ষকও এই ধরণের ঘটনার শিকার হয়েছেন।
তিনি জানান, সপ্তাহখানেক আগে বাসে একজন আমাকে ‘পাগরিওয়ালি’ বলে টিটকারি মারে। তারপর সব যাত্রীকে হাত দিয়ে আমাকে দেখিয়ে বলতে থাকে, ‘তোমরা জানো প্যারিসে এরা আমাদের সাথে কি করেছে?’
তখন দু’জন পুরুষ আরিজের পক্ষ নিয়ে ওই ব্যক্তিকে বলেন, তুমি এর সাথে এমন বাজে ব্যবহার করতে পারো না।