শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় ইইউ-তুরস্কের সমঝোতা
ইউরোপে শরণার্থী ও অভিবাসীদের স্রোত ঠেকাতে পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও তুরস্ক। ব্রাসেলসে এ নিয়ে একদিন আলোচনার পর এই মতৈক্যের খবর এলো। এই সমঝোতা অনুসারে, তুরস্কে অবস্থানরত সিরীয় শরণার্থীদের সহায়তার জন্য প্রায় ২৩২২ কোটি টাকার (৩০০ কোটি ডলার) বেশি অর্থ সাহায্য দেবে ইইউ। ২৮ সদস্যের সংস্থার ইইউ’র নেতারা গত রোববার তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে মিলিত হন এবং এই সমঝোতায় পৌঁছেন।
এই সংকট মোকাবিলায় আঙ্কারা এরইমধ্যে আট বিলিয়ন ডলার খরচ করে ফেলেছে। তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভু তোগলু এই সমঝোতার পর তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক দিন বলে বর্ণনা করেছেন।
তুর্কী প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা শুধু তুরস্কের একার সমস্যা নয় কিংবা এটা শুধু ইউরোপের সমস্যা- তাও নয়। এই মানবিক সংকটের জন্য তুরস্ক বা ইউরোপীয় ইউনিয়নই শুধু দায়ী নয়। কিন্তু দিন শেষে এই শরণার্থী সমস্যা মোকাবিলায় আমাদের এক সঙ্গেই কাজ করতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এই তিন বিলিয়ন ইউরো তুরস্কে দেয়া হয়নি। সিরীয় শরণার্থীদের জন্য দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে তুরস্ককে সংযোজনের বিষয়টি নিয়েও নতুন করে আলোচনা হবে। চুক্তি অনুসারে তুরস্কের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই ইউরোপের সেনজেন জোনের দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে তুরস্ককে শর্তসাপেক্ষে এইসব সুবিধা দেয়া হবে।
এই বছর ৭ লাখের বেশি অভিবাসী ইউরোপে প্রবেশ করেছে এবং এদের বেশিরভাগই তুরস্ক হয়ে ঢুকেছে। এদের অনেকেই সিরিয়া, ইরাক এবং আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসা। বর্তমানে তাদের ঠাঁই হয়েছে তুরস্কের বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে।
এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেল বলেছেন, তুরস্কে অবস্থানরত ২০ লাখ উদ্বাস্তুর জন্য সামান্য তারা আন্তর্জাতিক সাহায্য পেয়েছে। সুতরাং তাদের এই কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে ইইউ এবং এর সদস্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে তুরস্কের সহায়তার প্রত্যাশ্যা করার অধিকার রয়েছে।