‘ইসরাইলি নিষ্ঠুরতার উদাহরণ কি পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি আছে?’

Ayatullahইহুদিবাদী ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের প্রতি আমেরিকার অব্যাহত সমর্থনের সমালোচনা করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণ ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে সবচেয়ে ঘৃণ্য সন্ত্রাসবাদের মোকাবেলা করছে।
পশ্চিমা যুবসমাজের প্রতি লেখা দ্বিতীয় চিঠিতে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী এ কথা বলেন। প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরাইলের অব্যাহত হামলার তুলনা করতে গিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, “ইউরোপের জনগণ এখন যদি কয়েক দিনের জন্য নিজেদের ঘরে আশ্রয় নিয়ে থাকে এবং জনবহুল কেন্দ্র বা স্থানগুলো পরিহার করে থাকে তাহলে ফিলিস্তিনের পরিবারগুলো তো বছরের পর বছর ধরে এমনকি নিজেদের ঘরেও নিরাপদ নেই, কখনোই ছিল না। তাদের ঘরেই তারা ইসরাইলি বুলডোজারে পিষ্ট হয়ে এসেছে। ইসরাইলিরা যে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে জোর করে নিজেদের ইহুদি বসতি নির্মাণ করে যাচ্ছে ওই জঘন্য কাজটিকে কি কোনো ধরনের নৃশংসতার সঙ্গে তুলনা করা যায়?”
বর্বর ইসরাইলি সেনাদের নৃশংসতার সমালোচনা করে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল আন্তর্জাতিক কোনো রীতিনীতির তোয়াক্কা না করে তাদের এই পাশবিকতা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মিত্রদের প্রশ্রয়ে তারা প্রতিদিনই ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি বিরান করে যাচ্ছে, ধ্বংস করে যাচ্ছে তাদের ক্ষেত-খামার, বাগ-বাগিচা। এত জঘন্যভাবে এই নৃশংসতা চালানো হয় যে, ঘরের ভেতরে থাকা ফিলিস্তিনিরা তাদের ঘরের জিনিসপত্র কিংবা কৃষিকাজের সরঞ্জামাদি পর্যন্ত গুছিয়ে নেয়ার সুযোগ পায় না। ঘরের ভেতরে থাকা শিশু ও মহিলাদের শুধু ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া তাদের কিছুই করার থাকে না। এই নারী-শিশুরা অশ্রুসজল দৃষ্টিতে দেখে তাদের পরিবারের লোকজনকে কীভাবে নির্যাতন করছে, কীভাবে তাদের কাউকে কাউকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভয়ংকর নির্যাতন কেন্দ্রের দিকে। এ ধরনের নির্দয় নিষ্ঠুরতার উদাহরণ কি বর্তমান পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি আছে?
তিনি প্রশ্ন রাখেন- একজন ফিলিস্তিনি মহিলা আপাদমস্তক সশস্ত্র ইসরাইলি সেনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর কারণে তাকে রাস্তার মাঝখানে নিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার ঘটনা যদি সন্ত্রাসবাদ না হয় তাহলে কোন্‌টা সন্ত্রাসবাদ? এই নৃশংস ববর্রতা একটি দখলদার সরকারের সেনারা ঘটিয়ে যাচ্ছে বলে তাকে উগ্রতা বলা যাবে না? নাকি ষাট বছর ধরে এই নৃশংসতার চিত্র টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে দেখতে এখন আর আমাদের বিবেককে নাড়া দেয় না?

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button