প্রাণি জবাইয়ে হালাল পদ্ধতিই সবচেয়ে মানবিক : মার্কিন বিশেষজ্ঞ
আমেরিকার দক্ষিণ অঞ্চলের খামারি ফ্রাঙ্ক র্যান্ডলের পশু খামারটি যে এলাকায় সেখানকার বেশির ভাগ লোক খায় শূকরের মাংস। অথচ তিনি ৩০ বছর ধরে মুসলমানদের কাছে ভেড়ার হালাল গোশত সরবরাহ করে আসছেন। দক্ষিণ আলাবামা আর আটলান্টার বেশির ভাগ মুসলমান তার খামারের গোশই গ্রহণ করে আসছেন।
সম্প্রতি ইকোনমিস্টকে ৬৪ বছর বয়স্ক র্যান্ডল বলেন, মুসলমানরা যে পদ্ধতিতে জবাই করে সেটাই সবচেয়ে পবিত্র, শ্রদ্ধাপূর্ণ।
তিনি বলেন, পশু জবাইয়ের হালাল পদ্ধতিই সবচেয়ে মানবিক।
তিনি ৩০ বছর আগে তার প্রথম কোনো মুসলমানের মতবিনিময়ের বিষয়টিও স্মরণ করেন। ওই সময় সামরিক ঘাঁটি ফোর্ট বেনিংয়ের এক লিয়াজোঁ কর্মকর্তা তার খামারে এসে জানান, শিগগিরই তার কাছে এক ক্রেতা আসবেন। ওই ক্রেতা ছিলেন সৌদি আরবের এক লোক। তিনি ভেড়া কেনার জন্য লিমুজিনে করে এসেছিলেন। তারপর থেকে র্যান্ডল নিয়মিত মুসলমানদের হালাল গোশত সরবরাহ করছেন।
তিনি জানান, তার ক্রেতাদের বেশির ভাগই আরব বিশ্ব, আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পেশাদার ও বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট।
সন্তান জন্ম ও কোরবানির ঈদে চাহিদা বাড়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, তার বেশির ভাগ ক্রেতা এখন তার ‘বন্ধু’। তাদের সাথে তার ভালো সম্পর্ক আছে বলেও তিনি জানান।
তিনি স্বীকার করেন, প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পর আলাবামায় মুসলিমবিরোধী অনুভূতি দেখা দিয়েছে। রাজ্যটি সিরীয় উদ্বাস্তু গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। রাজ্যটি শরিয়া আইনের প্রয়োগও নিষিদ্ধ করেছে। তিনি ইসলামভীতির সমালোচনা করে বলেন, এটা একটা মুক্ত দেশ।