বন্যায় প্লাবিত যুক্তরাজ্যের ৪৬ শতাংশ এলাকা
যুক্তরাজ্যে ডেসমন্ড ঝড়ের পর এক সপ্তাহ ধরে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় দেশটির ৪৬ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বন্যায় প্রায় ৪৩ হাজার বাড়ি-ঘর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। প্রায় ৫ হাজার ২শ বাড়ি-ঘর বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
আকস্মিক বন্যায় দেশটিতে সাধারণ জীবন যাপন বিপর্যস্ত হচ্ছে। এই অবস্থায় সোমবার প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন এক জরুরি বৈঠক করেছেন। শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে তিনি বন্যাকবলিত এলাকা এবং জরুরি সেবা সম্পর্কে বিভিন্ন আলোচনা করেছেন।
ডেভিড ক্যামেরুন জানিয়েছেন, ‘বন্যাকবলিত এলাকার কিছু মানুষ হয়ত বড় দিনে নিজ নিজ বাড়িতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।’
ডেসমন্ড ঝড়ের কারণে আয়ারল্যান্ডের উত্তরাঞ্চল, ওয়েলসের উত্তরাঞ্চল, স্কটল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল এবং বিশেষ করে ইংল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এক সপ্তাহ ধরে ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে। তবে এই সপ্তাহেও আরো বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দেশটির পরিবেশ দপ্তর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৮০টির মত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪৬টিই ছিল ভয়াবহ। বন্যাকবলিত এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া হাজার হাজর সাধারণ মানুষ জনকে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এর আগেও ২০০৯ এবং ২০০৫ সালে বন্যা আঘাত হেনেছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ের বন্যাকে বিগত সময়ের চেয়ে বেশি ভয়াবহ এবং অপ্রত্যাশিত হিসেবে উল্লেখ করেছেন পরিবেশ দপ্তরের প্রধান নির্বাহী জেমস বেভেন। তার মতে ১ মাসে যে বৃষ্টিপাত হয় তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।