ট্রাম্পের মুখে ইসলামবিদ্বেষ, ব্যবসা আমিরাত ও তুরস্কে
মার্কিন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প চরম ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব ধারণকারী হলেও তার ব্যবসা-বাণিজ্যের একটি বড় অংশই মুসলিম প্রধান আরব আমিরাত ও তুরস্কে পরিচালিত হয়।
আরব আমিরাতে পরিচালিত ট্রাম্প অর্গানাইজেশন ট্রাম্পের মালিকানাধীন একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি। আমিরাতের শীর্ষস্থানীয় একটি ডেভেলপার কোম্পানির সাথে পার্টনারশিপে ব্যবসা করছে ট্রাম্পের কোম্পানি।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম নিষিদ্ধ করার ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের ব্যবসায়িক মিত্র দুবাইয়ের দামাক প্রোপার্টিজের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নায়াল ম্যাকলোগলিন বলেন, ‘ট্রাম্পের রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত ব্যাপারে আমরা আগ্রহী নই। তার সাথে আমাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক। তিনি যে মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে আমাদের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।’
ট্রাম্পের মন্তব্যে গোটা বিশ্বেই আলোড়ন তৈরি হলেও আরব আমিরাতে ট্রাম্পের ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
আরো একটি মুসলিম প্রধান দেশ তুরস্কেও ট্রাম্পের ব্যবসা আছে। তুরস্কে ট্রাম্পের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ট্রাম্প টাওয়ারও বরাবরের মতো চালু আছে।
সিসলি জেলাতে অবস্থিত ইস্তাম্বুল ভিত্তিক আবাসিক ও অফিস টাওয়ার ট্রাম্পের বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ট্রাম্পের মেয়ে ও পারিবারিক ব্যবসার একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ইভানকা জানিয়েছেন, ট্রাম্প তার ব্যবসার পরিধি কাতার, সৌদি আরবের মতো মুসলিম প্রধান দেশগুলোতেও ছড়িয়ে দিতে চান।
এ ব্যাপারে কাউন্সিল অন আমেরিকান রিলেশনস ( কেয়ার) এর মুখপাত্র ইবরাহিম হুপার বলেন, ‘তিনি মুসলিম দেশ থেকে টাকা বানাতে পারলে খুব খুশি হন আবার তাদেরকেই আক্রমণ করেন সম্ভাব্য সবচেয়ে জঘন্য ভাষায়। ট্রাম্পের এই দ্বিমুখী নীতির কারণ আমার বোধগম্য নয়’।
তার বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জিজ্ঞাসা করলে হুপার বলেন, ‘আমার মনে হয় না এটা তাকে কোনো বার্তা দিতে পারবে। মনে হচ্ছে তিনি বিবেচনা বোধ হারিয়েছেন, তিনি সমাজকে সংঘাতের দিকেই শুধু নিয়ে যেতে পারবেন। কোনো সুষ্ঠু সমাধান তার কাছে আশা করা বোকামি’।