সিরীয় শরণার্থীদের নিয়ে প্রথম বিমান কানাডায়
সিরীয় শরণার্থীদের নিয়ে প্রথম বিমানটির গতকাল বৃহস্পতিবার কানাডায় পৌঁছানোর কথা। ২৫ হাজার সিরীয় শরণার্থী কানাডায় পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আজকের দিনটিকে ‘একটি মহান দিন’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী সিরিয়ায় চার বছরের চলমান গৃহযুদ্ধে বাস্তুচ্যুত ২৫ হাজার মানুষকে কানাডায় পুনর্বাসিত করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। তবে প্যারিসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর তার এই পরিকল্পনা ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ট্রুডো জানান, কানাডা সরকারের একটি সামরিক ফ্লাইট সিরিয়ার শরণার্থীদের নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার টরেন্টো পৌঁছাবার কথা। এর দুই দিন পর অপর একটি ফ্লাইট মন্ট্রিয়েলে অবতরণ করবে।
ফ্লাইট দুটি এয়ারবাস এ৩১০ সামরিক বিমান ব্যবহার করবে। এগুলোতে করে মোট ৩০০ সিরীয় শরণার্থী কানাডায় পৌঁছবে। পরবর্তী ফ্লাইটগুলো ভাড়া করা বিমান ব্যবহার করবে।
এদিকে কানাডা সরকার সিরীয় শরণার্থীদের উষ্ণ অভ্যর্থনার প্রস্তুতি নিয়েছে।
কানাডার অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক কর্মকর্তা হেইদি জুরিসিক বলেন, আমরা নিশ্চিতভাবেই আশা করি যে কানাডায় প্রবেশের প্রথম দিনটিকে তারা কখনো ভুলতে পারবেন না। তারা এই বিমানবন্দরে শরণার্থী হিসেবে প্রবেশ করবেন আর এটি ত্যাগ করবেন কানাডার স্থায়ী নাগরিক হিসেবে।
প্রায় চার বছর ধরে চলা সিরীয় গৃহযুদ্ধে দেশটির অর্ধেকের বেশি মানুষ এখন উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। সংঘাতে অন্তত আড়াই লাখ সিরীয় মারা গেছেন।