নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু করছি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতু লাখো শহীদের আত্মত্যাগের ফসল। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন, কিভাবে মাথা উঁচু করে দাড়াতে হয়। পদ্মা সেতু তারই দৃষ্টান্ত। আগামীতেও সকল উন্নয়নের কাজ নিজেরাই করবো। দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় দেশের সাফল্য আসবে। আর্থিক উন্নতি হবে। সেতুর কাজ সময়মতো করতে আমরা প্রস্তুত। কারো কাছে ভিক্ষা চেয়ে নয়, হাত পেতে নয়। পদ্মা সেতু নিজস্ব টাকায় করছি। আজ থেকে পদ্মা মূল সেতুর কাজ শুরু হয়ে গেল।
তিনি আজ শনিবার দুপুর ১টায় মাওয়া চৌরাস্তায় পদ্মা সেতুর মূল পাইলিং কাজের ফলক উম্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত এক সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।
বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী দোগাছি সার্ভিস এরিয়া-১ এর ১০ নং কটেজে পৌঁছান।
সূধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সেতু সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ প্রমুখ ।
এছাড়াও একাধিক মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী ও এমপিসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ আয়োজিত সূধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিকেল ৩ টায় মাওয়া চৌরাস্তা সংলগ্ন খান বাড়ি এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখবেন। তিনি দুপুর সাড়ে ১২ টায় জাজিরা থেকে সিবোটে মাওয়ায় পৌঁছেন। এর আগে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা পয়েন্টে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নদী শাসন ও সংযোগ সড়ক কাজের ফলক উন্মোচন করেন প্রাধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখেন। এর আগে তিনি ঢাকা থেকে ১০টা ৪৫ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে জাজিয়ায় পৌঁছান। এ সময় তার সাথে ছিলেন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি,শরীয়তপুর-১ আসনের এমপি বি এম মোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উৎসাহ -উদ্দীপনা বিরাজ করছে পদ্মা পাড়ের জনগণের মাঝে।