প্রথমবারের মতো ভোট দিলেন সৌদি নারীরা
সৌদি আরবে প্রথমবারের মত ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে নারীরা। শনিবার পৌর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়। দেশটির এই পৌর নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নারীরা প্রার্থী হিসেবেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
বিবিসি বলছে, এই নির্বাচনে মোট প্রার্থী ৬,৯১৭ জন। ৫,৯৩৮ জন পুরুষের পাশাপাশি ৯৭৯ জন নারীও বিভিন্ন পদে প্রার্থী হয়েছেন।
সরকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার নারী ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। যদিও এই সংখ্যা নিবন্ধিত পুরুষ ভোটারদের তুলনায় অনেক কম।
দেশটিতে পৌর নির্বাচনে ১৩ লাখ ৫০ হাজার পুরুষ ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছেন।
সালমা আল-রাশেদ নামে একজন নারী দেশটিতে প্রথম নারী ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। বিবিসিকে তিনি বলেন, “এটি সত্যিই ভালো একটি ব্যাপার। পরিবর্তন অনেক বড় বিষয়। নির্বাচন সেই পথ যার মধ্যদিয়ে আমরা যে সত্যিকার অর্থেই প্রতিনিধিত্ব করছি তা নিশ্চিত হবে।”
সৌদি আরবে নির্বাচন অনুষ্ঠান একটি বিরল ঘটনা। শনিবারের এই নির্বাচন দেশটির ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘটনা।
এর আগে ২০০৫ ও ২০১১ সালে দু’টি পৌর কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে ওইসময় ভোটাধিকার কিংবা প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নারীদের ছিল না, ছিল কেবল পুরুষদেরই।
১৯৬৫ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ৪০ বছর দেশটিতে কোনো ধরনের নির্বাচন হয়নি।
শনিবারের এই পৌর নির্বাচনে ২৮৪টি কাউন্সিলের বিভিন্ন পদে মোট ২১০৯টি আসন রয়েছে। এর বাইরে বাদশার মনোনীত ব্যক্তিদের দিয়ে পূরণ করা হবে ১০৫০টি আসন। অর্থাৎ মোট ৩১৫৯টি আসনের বিপরীতে প্রার্থীরা লড়াই করবেন।
এর আগে চলতি বছরের ২২ অগাস্ট থেকে শুরু করে ২১ দিন ধরে সৌদিতে নারীদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চলে। দেশটির প্রয়াত বাদশাহ আবদুল্লাহর নারীদের ভোটাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। শুধু ভোটদানের ক্ষমতাই নয়, প্রভাবশালী শূরা কাউন্সিলেও নারীদের স্থান দিয়েছেন বাদশাহ্ আব্দুল্লাহ। দেশটির ১৫০ সদস্যবিশিষ্ট শূরা কাউন্সিলে ৩০ জন নারী রয়েছেন।