বাংলাদেশ-ভারত ভূমি জরিপ শুরু
ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তে ‘এডভার্স পজিশন’ (এপি) বা অপদখলীয় সীমানা চিহ্নিতকরণ ও পিলার স্থাপন কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ ও ভারত। বৃহস্পতিবার দি হিন্দু পত্রিকার রিপোর্টে একথা বলা হয়।
সার্ভে অব ইন্ডিয়ার কর্মকর্তারা জেলার দক্ষিণ বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে পৌঁছেছেন এবং সীমানা চিহ্নিতকরণ শুরু করেছেন। ভবিষ্যৎ বিরোধ এড়াতে কর্মকর্তারা অবিলম্বে পর্যায়ক্রমে পিলার স্থাপন করবেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এরফলে দেশ ভাগের সময় ব্রিটিশ আইনজীবী সিরিল জন রেডক্লিফ ভুল করে জলপাইগুড়ি জেলার একটি থানা বাদ দেয়ায় ১৯৪৭ সালে সৃষ্ট মানবিক সংকটের অবসান ঘটবে।
বাংলাদেশ ও ভারত গত জুন মাসে ২০১১ সালের প্রটোকলের ভিত্তিতে বিরোধ নিষ্পত্তিতে সম্মত হয়। প্রটোকলে বিরোধপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করার কথা বলা হয় এবং ২০১৫ সালের চুক্তির ভিত্তিতে ২০১৬ সালের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে সীমানা চিহ্নিতকরণের কাজ শেষ করার আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী দক্ষিণ বেরুবাড়ির গ্রামগুলোতে সীমানা চিহ্নিতকরণ শুরু হয়েছে গত সপ্তাহে।
সার্ভে অব ইন্ডিয়ার সিনিয়র অফিসার বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে কর্মকর্তারা দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের ওই গ্রামে পৌঁছেন এবং কার্যক্রম গ্রহণ করেন।
কর্মকর্তারা ‘দি হিন্দু’কে জানান, বেরুবাড়ি সীমান্তে ১০টি মূল পিলার ও ১১০টি সম্পূরক পিলার স্থাপন করা হবে।
জেলা প্রশাসনের সহায়তায় কর্মকর্তারা পিলার স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করতে টেন্ডার সম্পন্ন করে স্থানীয় নির্মাতাদের পিলার স্থাপনের দায়িত্ব দিয়েছেন।
দক্ষিণ বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫টি গ্রামে এবং পার্শ্ববর্তী অপর পঞ্চায়েত নগর বেরুবাড়ির আন্তর্জাতিক সীমান্তে পিলার বসানো হবে।
প্রটোকল ২০১১’র অনুচ্ছেদ ৩ অনুযায়ী ৪টি পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য- পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় সীমান্ত চিহ্নিতকরণ ও পিলার স্থাপন করা হবে। ২০১৫’র চুক্তিতে সকল সীমানা চিহ্নিতকরণ ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
তবে আসাম ও ত্রিপুরায় সমস্যা ভিন্ন ধরনের। বেঙ্গলে এপি ল্যান্ডে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকের বাসস্থান বাংলাদেশের (আগেকার পূর্ব পাকিস্তান) ভূমিতে, আসাম ও ত্রিপুরায় বাংলাদেশি নাগরিকরা ভারতীয় ভূখণ্ডে বসবাস করছে।
দক্ষিণ বেরুবাড়ি প্রতিরক্ষা কমিটির সভাপতি সারদা প্রসাদ দাস বলেন, আশা করি চুক্তি অনুযায়ী ২০১৬ সালের জুননাগাদ সকল রাজ্যের সমস্যার সমাধান হবে।