কাশ্মীর নেই ভারতে !
গোটা কাশ্মীরই পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে। ভারতে নেই এর ছিটেফোঁটাও বাস্তবে যাই হোক কিন্তু গুগল বলছে একথাই। এ কারণে মাইক্রোসফটসহ একাধিক আমেরিকান সংস্থার বিরুদ্ধে সরকারি পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ভারতীয় রাজ্যসভার বিজেপির এমপি তরুণ বিজয়। মাইক্রোসফটসহ বিভিন্ন আমেরিকান সংস্থা প্রকাশিত মানচিত্রে দেখা গেছে ভারতীয় ভূখণ্ডে নেই কাশ্মীরের অস্তিত্ব। সমগ্র কাশ্মীর অঞ্চলই রয়েছে পাকিস্তানের দখলে। ভারতের সার্বভৌমত্বকে অপমান করার কারণে অবিলম্বে এবং অন্যান্য মার্কিন মানচিত্র ওয়েবসাইটের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার আর্জি জানিয়েছেন বিজেপির ঐ এমপি। দলমত নির্বিশেষে তাকে সমর্থন করেছেন রাজ্যসভার সদস্যরা। শুক্রবার রাজ্যসভার অধিবেশনের জিরো আওয়ারে মানচিত্র বিতর্ক নিয়ে সওয়াল করেন তরুণ বিজয়। তার অভিযোগ, মানচিত্র নির্মাতাদের ভুলের শিকার হয়েছে ভারত। তিনি বলেন, মাইক্রোসফটসহ বিভিন্ন আমেরিকান ওয়েবসাইট ভারতের যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে গোটা কাশ্মীর অঞ্চল পাকিস্তানের অন্তর্গত বলে দেখানো হয়েছে। আবার আকসাই চীনকেও চীনের অন্তর্গত এলাকা বলে দেখানো হয়েছে। অজান্তে এই সমস্ত মানচিত্র ব্যবহার করছেন ইউজাররা, যার ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব। ওই সমস্ত মানচিত্র বে আইনি বলে এদিন মন্তব্য করেছেন বিজয়। শুধু তাই নয়, এই উদ্যোগ ভারতীয় সংবিধান বিরোধী এবং দেশের স্বার্থের পরিপন্থী বলে এমপির অভিযোগ। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি জানান, কিছু দিন আগে ব্রাসেলস-এ নেটোর এক সভায় এই ভুল ভারতীয় মানচিত্রই দেখানো হয়েছে। কিন্তু এই ব্যাপারে সরকারি তরফে কোনও প্রতিবাদ জানানো হয়নি। রীতিমতো কটাক্ষ করে তরুণ বিজয় প্রশ্ন তোলেন, আমরা বলি, বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচগ্র মেদিনী, অথচ মানচিত্রের ক্ষেত্রে কয়েক লক্ষ বর্গ কিলোমিটার অন্য দেশকে দান করতে আমাদের কুণ্ঠা নেই। এটা কী হচ্ছে? আমাদের সেনা জওয়ানরা তেরঙা নিশানের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেন, তাহলে কী কারণে আমাদের জাতীয় সংহতি ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আক্রমণ সহ্য করব বিজেপি এমপিদের আরও অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীরের সংবাদপত্রে লেখা হয় পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর। কেন তা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর লেখা হবে না বেশ কয়েকটি বিদেশি পত্রিকাতেও এই ভুল মানচিত্র ছাপা হয়। আমরা কেন এইসব মেনে নেব? কী কারণে এর প্রতিবাদ হবে না বিষয়টি নিয়ে এদিন রাজ্যসভায় তুমুল আলোচনা হয়। প্রায় সবাই তরুণের সঙ্গে কণ্ঠ মেলায়।