ট্রাম্পকে ব্রিটেনে নিষিদ্ধ করার দাবিতে স্বাক্ষর সাড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ধনকুবের? ট্রাম্পকে ব্রিটেনে নিষিদ্ধের দাবিতে চালু হওয়া অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষর সাড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল শনিবার দুপুর একটা পর্যন্ত পিটিশনে স্বাক্ষর করেন মোট পাঁচ লক্ষ ৫৬ হাজার ৯২৯ জন।
ট্রাম্প গত শনিবার এক বক্তৃতায় মুসলিমদের সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। যেসব মুসলিম যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন তাদেরকে বিশেষ ট্যাগ পরিধান করতে হবে যাতে সহজে চেনা যায় যে তারা মুসলিম। এমন মন্তব্যের পরদিন গত রোববার ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘লন্ডন এতটাই উগ্রবাদীদের দখলে চলে গেছে যে এখানকার পুলিশ নিজেরাই জীবন নিয়ে শঙ্কিত’। ট্রাম্পের মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য এবং লন্ডনে মুসলিম উগ্রপন্থা নিয়ে মন্তব্যে বৃটেনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। ব্রিটিশ রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি ব্রিটেনের মুসলিমরা একযোগে ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেছেন। প্রতিক্রিয়া এসেছে লন্ডন মেট্রোপলিটান পুলিশের কাছ থেকেও।
ট্রাম্পকে ব্রিটেনে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে একটি পিটিশন চালু হয়। সাধারণত এ ধরনের পিটিশনে স্বাক্ষর সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়ালেই বিষয়টি নিয়ে পার্লামেন্টে এমপিদের বিতর্ক করতে হয়। কিন্তু ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ চেয়ে চালু হওয়া পিটিশনে স্বাক্ষরের পরিমাণ এক সপ্তাহেই সাড়ে পাঁচ লক্ষ ছাড়িয়ে যায়। ব্রিটেনে কোনো অনলাইন পিটিশনে এত অল্প সময়ে এতবেশি স্বাক্ষর হওয়ার এটি একটি বিরল ঘটনা।
পিটিশনারদের দাবি ট্রাম্প যদি তার মন্তব্য প্রত্যাহার না করেন তাহলে সম্প্রতি উগ্রবাদ দমনে চালু হওয়া আইনের আওতায় যাতে ট্রাম্পকে যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ করা হয়।
আমেরিকার নির্বাচনী বিতর্কে হস্তক্ষেপ না করার রীতি ভঙ্গ করে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ট্রাম্পের মন্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার (ট্রাম্পের) মন্তব্য বিভাজন সৃষ্টিকারী, অসহায়ক এবং অল্প কথায় বলতে গেলে সম্পূর্ণভাবে ভুল’। প্রধানমন্ত্রীর এমন প্রতিক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের অন্যান্য দলগুলোর নেতারা।