তুরস্কের আকাশ প্রতিরক্ষায় ন্যাটোর প্যাকেজ
তুরস্কের আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে দেশটিতে জঙ্গিবিমান ও যুদ্ধজাহাজ পাঠাতে সম্মত হয়েছে ন্যাটোর মিত্র দেশগুলো। সিরিয়া সীমান্ত সংলগ্ন তুর্কি আকাশসীমার সুরক্ষায় এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ এ তথ্য জানিয়েছেন।
কূটনীতিকরা বলছেন, তুরস্কে রাশিয়ার আরো বিমান ভূপাতিত করা এড়াতে ন্যাটো অংশত এ প্যাকেজ নিয়েছে। স্টোলটেনবার্গ জানান, ন্যাটোর কূটনীতিকরা এ পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন এবং এজন্য তুরস্ককে কি ধরনের সামরিক সহায়তা পাঠানো হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে তিনি বলেন, ন্যাটোর এ পদক্ষেপ আত্মরক্ষামূলক।
‘ওই অঞ্চলের অস্থির পরিস্থিতিতে তুরস্ককে আশ্বস্ত করার পদক্ষেপ হিসেবে আমরা একটি প্যাকেজ গ্রহণে সম্মত হয়েছি,’ বলছিলেন স্টোলটেনবার্গ। তবে তিনি সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতি এবং তুরস্কের আকাশসীমা লঙ্ঘনের বিষয়টি এড়িয়ে যান।
তুরস্কের রয়েছে আধুনিক বিমানবাহিনী। তবে ন্যাটোর কূটনীতিক এবং সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সামরিক জোট চাচ্ছে ২৪ নবেম্বর রাশিয়ার জঙ্গিবিমান ভূপাতিত করার মত ঘটনা যাতে তুরস্কে আর না ঘটে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই ছিল রাশিয়ার কোনো জঙ্গিবিমান ভূপাতিত করার ঘটনা। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাশিয়ার তুরস্কের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করেছে। ন্যাটোর এ প্যাকেজে থাকবে নজরদারি বিমান এবং সমুদ্রসীমার পাহারায় মেরিটাইম প্যাট্রল এয়ারক্রাফট।
এজন্য যুদ্ধজাহাজ সরবরাহ করবে জার্মানি ও ডেনমার্ক। বতর্মানে এগুলো পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মহড়া চালাচ্ছে। ন্যাটোর কূটনীতিকরা উদ্বিগ্ন যে আঙ্কারা রাশিয়ার পদক্ষেপে এতোটাই ক্ষুব্ধ যে আবারো উত্তেজনা বৃদ্ধির মত ঘটনা ঘটতে পারে। রাশিয়া ইতোমধ্যেই সিরিয়ায় আধুনিক এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বসিয়েছে যা ৪০০ কিমি দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমানকে আঘাত করতে সক্ষম। এছাড়া আধুনিক এসইউ-৩৪ জঙ্গিবিমান মোতায়েন করেছে রাশিয়া।