রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা বাড়ছে
যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথমবারের মতো জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অন্যতম হুমকি হিসেবে দেখছে রাশিয়া। দেশটির নিরাপত্তা কৌশলসংক্রান্ত একটি নথিতে যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আর এতে করে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের তিক্তা কতদূর পৌঁছেছে তা সহজেই আঁচ করা যায়।
নতুন বছরের শুরুতেই দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক অ্যাবাউট দ্য স্ট্র্যাটেজি অব ন্যাশনাল সিকিউরিটি অব রাশিয়ান ফেডারেশনের একটি নথিতে স্বাক্ষর করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। ২০০৯ সালে তৈরি ওই নথিটির নতুন সংস্কার হচ্ছে বর্তমান এই নথিটি। তবে এর আগে যে নথিটি ছিল সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটোকে নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
ওই নথিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া বৈশ্বিক সমস্যা এবং আন্তর্জাতিক সংঘাত নিয়ন্ত্রণে নিজেদের শক্ত অবস্থান রাখতে সমর্থ হয়েছে। আর এ কারণে অনেক পশ্চিমা দেশই মতবিরোধ দেখিয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তায় নতুন হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়াকে আরো শক্তিশালী করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
ওই নথিতে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ন্যাটোকে সরাসরি হুমকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই নথিতে আরো বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক বাহিনীকে রাশিয়া এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলোর দিকে আরো প্রসারিত করছে। তাই নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের রাজনীতিতে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এবং দেশটির মস্কোপন্থী প্রেসিডেন্টকে রাশিয়ায় পালিয়ে যেতে সাহায্য করার পর থেকে দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও এর ইউরোপীয় মিত্রদের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে শুরু করে। এ ছাড়া গত বছর নভেম্বর থেকে সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষ নিয়ে এর বিরোধী বিদ্রোহী দলগুলোর বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করার পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটেছে।