নতুন অস্ত্র আইন জীবন বাঁচাতে সহায়ক হবে : ওবামা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, এই সপ্তাহে তিনি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যে নতুন আইন ঘোষণা করবেন, তা প্রাণ বাঁচাতে সহায়ক হবে। এতে বহু পরিবার শোকের হাত থেকে রক্ষা পাবে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতা ঠেকাতে কংগ্রেস ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে নির্বাহী ক্ষমতাবলে একতরফা ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ১ জানুয়ারি ২০১৬ সালের প্রথম সাপ্তাহিক ভাষণে প্রস্তাবিত বন্দুক নীতির জন্য কংগ্রেসের সমর্থন না পাওয়াকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের সবচেয়ে বড় হতাশা বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, একের পর এক বন্দুক হামলার কারণে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের আইন কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। অবশ্য তিনি পরিষ্কার করে বলেননি, ঠিক কী কী পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন আগ্নেয়াস্ত্রের আইনে। তবে নতুন আইনে কেউ অস্ত্র কিনতে গেলে তার অতীত ও বর্তমান সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। আগ্নেয়াস্ত্র রাখার পক্ষের লোকজন ওবামার নতুন আইন প্রণয়নের চরম বিরোধিতা করেছেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, নিজের আইনগত সীমার মধ্যে থেকেই তিনি যা করার করছেন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার প্রেক্ষাপটে দেশটিতে বেশ কয়েকবার আগ্নেয়াস্ত্রের আইন কঠোর করার চেষ্টা করেও সফল হওয়া যায়নি। ২০১৩ সালে কানেকটিকাটে বন্দুকধারীর হামলায় ২০ শিশুসহ ২৬ জন নিহত হওয়ার পর অস্ত্র ক্রেতাদের তথ্য যাচাইসহ বিভিন্ন বাধ্যবাধকতার বিধান রেখে একটি যৌথ বিল পাসে ব্যর্থ হয় ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকানরা। বিলটি পাসের জন্য প্রয়োজনীয় ৬০ ভোটও পাওয়া যায়নি তখন। এমন প্রেক্ষাপটে নতুন বছরের প্রথম সাপ্তাহিক ভাষণে ওবামা বলেন, ‘আমরা জানি যে সব ধরনের সহিংসতা ঠেকানো আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। তবে এগুলোর মধ্যে অন্তত একটির সমাধানের চেষ্টা করতে সমস্যা কোথায়? আমাদের বাচ্চাদের আগ্নেয়াস্ত্র থেকে রক্ষা করার জন্য কি কংগ্রেস এগিয়ে আসতে পারতো না?’ সেদিনই তিনি জানান, নির্বাহী ক্ষমতাবলে তিনি কি কি ব্যবস্থা নিতে পারবেন সে বিষয়ে শিগগিরই অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলাপ করবেন।