বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও খালেদা জিয়ার বাণী
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিশ্ব ইজতেমা ২০১৬’র সাফল্য কামনা করে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্ব ইজতেমা ইসলামী উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সুদৃঢ়করণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব ইজতেমা ২০১৬’ উপলক্ষে ইজতেমায় আগত বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসল্লিদের স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিবছর সফলভাবে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করে বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। এজন্য আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে লাখো শুকরিয়া জানাই ।’
পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে মহান আল্লাহর দরবারে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও কল্যাণ এবং দেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।
তিনি আশা করেন, এ মহান ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখবে। দেশ ও বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
বিশ্ব ইজতেমা উপলেক্ষে দেয়া এক বাণীতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশবাসীসহ মুসলিম বিশ্বের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেছেন। তিনি বলেছেন, টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা বিশ্ব মুসলমানের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত। আমি বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী দেশ-বিদেশের অগণিত ধর্মভিরু মানুষের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি। মোমিন-মুসলমানদের এই ঐতিহাসিক জমায়েত উপলক্ষে আল্লাহর দরবারে দোয়া করছি। বিশ্বের সব মানুষ যেন হিংসা, বিদ্বেষ,সংঘর্ষ, সংঘাত ও হানাহানি থেকে মুক্ত হয়ে সুখি ও আনন্দময় জীবন-যাপন কররে পারে। অপর এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। -বাসস