অভিবাসী আইন কঠোর করার কথা ভাবছেন মার্কেল
জার্মানির কলোনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে নারীদের যৌন নিপীড়নের প্রতিক্রিয়ায় অভিবাসী আইন কঠোর করার কথা বিবেচনা করছেন চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল।
বিবিসি বলছে, মার্কেল জানিয়েছেন, অপরাধের সঙ্গে জড়িত অভিবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি সহজ করতে তিনি আইন পরিবর্তন করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন।
২০১৬ সালকে স্বাগত জানানোর রাতে কোলন সিটি সেন্টার ও আশপাশের এলাকায় প্রচুর মানুষ জড়ো হয়। ভিড়ের সুযোগে কোলন স্টেশন ও সিটি সেন্টারের মাঝামাঝি জায়গায় একদল তরুণ নারীদের যৌন নির্যাতন করে।
এ ঘটনায় জার্মানির পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে ক্ষোভের ঝড় উঠেছে।
এতে অভিবাসীদের বিষয়ে জার্মানির ‘খোলা দরজা নীতি’ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এ ঘটনার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তীব্র সমালোচনা হয়। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার দায়ে কলোনের পুলিশ প্রধানকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
ওই সময় কলোনে অনেকগুলো যৌন নিপীড়ন ও ডাকাতির ঘটনা ঘটার সময় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করার কথা জানিয়েছেন ঘটনার ভুক্তভোগীরা।
ওই সময় কর্তৃপক্ষের দিক থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
জার্মানির চলতি আইন অনুযায়ী, অন্ততপক্ষে তিন বছর কারাবাসের শাস্তি হলে এবং নিজ দেশে তাদের জীবন নিয়ে কোনো শঙ্কার কারণ না থাকলে অভিবাসীদের জোর করে দেশে ফেরত পাঠানো যায়।
ধারণা করা হচ্ছে, মের্কেলের রক্ষণশীল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেট পার্টির মন্ত্রীরা এখন প্রস্তাব করবেন, অভিবাসীরা যে কোনো মেয়াদের জন্যই কারাবাসের শাস্তি পান না কেন, তাদের ফেরত পাঠানো হবে।
মার্কেল বলেন, “যে ধরনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তাতে পরিবর্তনটি অবশ্যই ঘটবে বলে ধারণা করছি আমি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা কী কী পদক্ষেপ নিতে পারি তা নিয়ে আলোচনা করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী।”
কলোনের হামলাকারীদের উত্তর আফ্রিকীয় ও আরব বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। জার্মানির প্রশাসন ঘটনাটিকে ‘সতর্ক সংকেত’ হিসেবে বিবেচনা করছে। কারণ বিগত বছরে প্রধানত ওই অঞ্চলগুলো থেকে প্রায় ১০ লাখ অভিবাসী ইউরোপে প্রবেশ করেছেন।
অভিবাসীবিরোধী গোষ্ঠীগুলো কলোনের হামলার ঘটনাকে ব্যবহার করে ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলে এর আগে সতর্ক করেছেন জার্মান কর্মকর্তারা।