সেই মুসলিম নারী কেন ট্রাম্পের সমাবেশে গিয়েছিলেন?
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশ থেকে বিতাড়িত হিজাব পরা মুসলিম নারী রোজ হামিদ বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হলো, ট্রাম্পের বেশিরভাগ সমর্থকই কখনো কোনো মুসলমান ব্যক্তির সঙ্গে মেশেননি। সে জন্য ভাবলাম কোনো মুসলমানের সঙ্গে মেশার সুযোগ আমিই তাদের করে দেই। আমার সত্যিই কোনো কিছু বলার পরিকল্পনা ছিল না।’
তিনি আরো বলেন, সমাবেশে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করা বা চিৎকার করে কোনো প্রতিবাদ জানানোর পরিকল্পনা তার ছিল না। তিনি শান্তভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
রোজ বলেন,‘যারা আমার আশপাশে ছিল এবং যাদের সঙ্গে আমি কথা বলার সুযোগ পেয়েছি তাদের মধ্যে অনেকেই খুব ভালো ব্যবহার করেছে। তবে যারা ট্রাম্পের দ্বারা প্রভাবিত তারা সত্যিই খুব নোংরা।’
স্থানীয় সময় শুক্রবার নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্পের বক্তব্যের সময় নীরবে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন রোজ হামিদ নামের ৫৬ বছর বয়সী ওই নারী। একেবারে ট্রাম্পের মুখোমুখি চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এ সময় তার পরনের শার্টে লেখা ছিল, ‘সালাম,আমি শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছি।’
মার্টি রোসেনব্লুথ নামে আরো এক ব্যক্তিও রোজ হামিদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে তার প্রতিবাদে অংশ নেন। তারা দুজনেই চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলেও তাদের আশপাশে থাকা ট্রাম্পের ভক্তরা জোরে জোরে ট্রাম্পের নামে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পুলিশ এসে রোজ হামিদকে সরিয়ে নিয়ে যায়। রক হিল পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা স্টিভেন থম্পসন দাবি করেছেন, রোজ ঝামেলা সৃষ্টি করছেন বলে সমাবেশ কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে অভিযোগ করে। এ জন্য তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
রোজ হামিদের বরাত দিয়ে মার্কিন টিভি চ্যানেল সিএনএন জানিয়েছে, পুলিশ যখন তাকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল তখন আশপাশ থেকে তার উদ্দেশে অপমানকর নানা বক্তব্য ছুড়ে দেয়া হচ্ছিল। এদের মধ্যে একজন চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘বেরিয়ে যাও, তোমার কাছে বোমা আছে।’
আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন বলে কিছুদিন আগে ঘোষণা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই বক্তব্যের মধ্যদিয়ে ট্রাম্পের ইসলামবিদ্বেষী মনোভাব স্পষ্ট হয়েছে। -রেডিও তেহরান