ভারতে মুসলমান তরুণদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি
ভারতে তরুণদের মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। দেশটির জনসংখ্যার ৪১ শতাংশের বয়সই ২০ বছরের নিচে। মুসলিমদের মোট জনসংখ্যার ৪৭ শতাংশই ২০ বছরের নিচে। আর হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে শিশু ও কিশোরোর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে এই তথ্য পাওয়া গেছে। জৈন সম্প্রদায়ের ২৯ শতাশের বয়স ০-১৯-এর মধ্যে। খৃস্টানদের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৩৭ শতাংশ। শিখ ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের যথাক্রমে ৩৫ ও ৩৭ শতাংশ।
আদমশুমারির তথ্য অনুসারে দেশের মোট জনসংখ্যার ৪১ শতাংশেরই বয়স ২০ বছরের নিচে। ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের সংখ্যা ৯ শতাংশ। বাকি ৫০ শতাংশের বয়স ২০ থেকে ৫৯-র মধ্যে।
২০০১ সালের আদমশুমারির তুলনায় তরুণের সংখ্যা অবশ্য কিছুটা কমেছে। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, দেশের মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশেরই বয়স ছিল ২০-র নিচে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ৪৪ শতাংশ, মুসলিম সম্প্রদায়ের ৫২ শতাংশই ছিল তরুণ। জৈন সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে তা ছিল ৩৫ শতাংশ।
আদমশুমারির তথ্য অনুসারে, সম্প্রদায় নির্বিশেষে শিশু ও কিশোরদের আনুপাতিক সংখ্যা কমছে। বয়স্কদের সংখ্যা বাড়ছে।
গড় আয়ু বাড়ায় সব সম্প্রদায়েরই বয়স্কদের অনুপাত বাড়ছে। আদমশুমারি তথ্য অনুসারে, ৬০-র বেশি মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশ। মুসলিমদের ক্ষেত্রে এই অনুপাত ৬৪ শতাংশ। জাতীয় গড়ের তুলনায় যা প্রায় ৫০ শতাংশ কম। জৈন ও শিখদের মধ্যে ৬০-র বেশি মানুষের সংখ্যা প্রায় ১২ শতাংশের কাছাকাছি।
বয়স অনুযায়ী জনসংখ্যার অনুপাতের এই তথ্য থেকে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। সেটি হল নির্ভরতা। শিশু ও বয়স্করাই মূলত সক্ষম ও পূর্ণবয়স্কদের ওপর নির্ভরশীল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্যে দেখা যাচ্ছে যে, অভিভাবকদের ওপর নির্ভরশীল শিশু-কিশোরের সংখ্যা কমছে। কর্মক্ষম জনসংখ্যার প্রতি ১০০০ জনের ক্ষেত্রে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত নির্ভরশীলের অনুপাত প্রতি হাজারে ৫১০। ২০০১-এ এই সংখ্যা ছিল প্রতি হাজারে ৬২১। এই তথ্য থেকে স্পষ্ট প্রত্যেক পরিবারে শিশুসংখ্যা কমছে। অর্থাৎ জন্মহার নিয়ন্ত্রণে সাফল্যের প্রভাব এক্ষেত্রে পড়েছে।
বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে এই নির্ভরতা ২০০১ সালে ১৩১ থেকে বেড়ে ২০১১সালে হয়েছে ১৪২। –শীর্ষ নিউজ