সিরিয়ায় হামলার পরিকল্পনা বাতিল করল আমেরিকা
মার্কিন সরকার সিরিয়ার ওপর একতরফা হামলার পরিকল্পনা বাতিল করেছে। এর আগে আমেরিকা বৃহস্পতিবার সিরিয়ায় হামলা শুরু করতে পারে বলে ঘোষণা করেছিল।
বিবিসি টেলিভিশন বুধবার এক আকস্মিক সংবাদে জানিয়েছে, মার্কিন সরকার সিরিয়ার ওপর একতরফা হামলার পরিকল্পনা বাতিল করেছে এবং হোয়াইট হাউজ এ ব্যাপারে মিত্র সরকারগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও শলা-পরামর্শ চালিয়ে যাচ্ছে।
সিরিয়া বিষয়ে আরব লীগ ও জাতিসংঘের বিশেষ দূত আখজার ব্রাহিমি বলেছেন, সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমতি নেয়া জরুরি। তিনি বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কেবল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর সামরিক হস্তক্ষেপ করা যেতে পারে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনও বুধবার বলেছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এবং এ পরিষদের উচিত তার দায়িত্ব পালন করা। এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের দাবি সম্পর্কে জাতিসংঘের তদন্ত শেষ না হওয়ার আগেই এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক নয়।
লেবাননের আল-ইত্তিহাদ দল সিরিয়ায় মার্কিন হামলার নেতিবাচক পরিণতি সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, সিরিয়ায় যুদ্ধের মার্কিন হুমকি দামেস্কের মিত্রদের ধ্বংসাত্মক প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি করবে। দলটি আরো বলেছে, সিরিয়ায় মার্কিন হামলা হলে আমেরিকাকে বড় ধরনের কিছু মার খেতে হবে। এ অঞ্চলে মার্কিন সরকার ও তার মিত্রদের কৌশলগত স্বার্থগুলো হুমকির মুখে পড়বে এবং বিশ্ববাসী বিস্মিত হবে।
সিরিয়ার সরকার তার জনগণের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করেছে– এই অজুহাত দেখিয়ে আমেরিকা ও তার মিত্র দেশগুলো সিরিয়ায় হামলা চালানোর তোড়জোড় করছে। কিন্তু দামেস্ক এ অভিযোগকে রাজনৈতিক মিথ্যাচার বলে প্রত্যাখ্যান করে আসছে।