সেই মার্কিন মুসলিম সেনা কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
যুক্তরাষ্ট্রের আলোচিত মুসলিম কর্মকতা মেজর নিদাল হাসানকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে দেশটির একটি সামরিক আদালত। ইরাক ও আফগানিস্তানে নিরীহ মুসলমানদের হত্যার প্রতিবাদে তিনি ২০০৯ সালে ফোর্ট হুডে গুলি চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করেছিলেন। টেক্সাসের ওই সামরিক ঘাঁটিতে গুলিতে ৩০ জন আহত হয়।
৪২ বছর হাসান তার বিরুদ্ধে আনীত কোনো অভিযোগই অস্বীকার করেননি। এমনকি তিনি বিচার শুরুর প্রথম দিকে বক্তৃতা দেয়ার পর আর কোনো যুক্তিতর্কেও অংশ নেননি। তার পক্ষে কোনো আইনজীবীও নিয়োগ করা হয়নি।
তবে নিদালের ফাঁসি হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। আপিল না করলেও তার ফাঁসির তারিখ ঠিক হতে বছরের পর বছর লেগে যেতে পারে। তার ফাঁসির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুমোদন লাগবে। সর্বশেষ ১৯৬১ সালে একজন বন্দিকে ফাঁসি দিয়েছিল মার্কিন সামরিক বাহিনী।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে ঘুমন্ত অবস্থায় নিরীহ ১৬ গ্রামবাসীকে হত্যার দায়ে গত ২৪ আগস্ট মার্কিন সেনা রবার্ট ব্যালেস (৪০)কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আরেকটি সামরিক আদালত। অপরাধ স্বীকার করায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়নি।