অ্যাসাঞ্জের আটক বেআইনী : জাতিসংঘ
বিশ্বজুড়ে আলোচিত সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের আবেদনের পক্ষেই রায় দিয়েছে জাতিসংঘ। গতকাল বৃহস্পতিবার অ্যাসাঞ্জের আটককে বেআইনী উল্লেখ করে রুল জারি করে জাতিসংঘের বিশেষ প্যানেল। তদন্তের বিস্তারিত জানানো হবে শুক্রবার।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষমতা উন্মোচনকারী বিকল্প সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ঘোষণা দিয়েছিলেন, জাতিসংঘের তদন্ত দলের রায় তার বিপক্ষে গেলে তিনি নিজেই ব্রিটিশ পুলিশের কাছে ধরা দেবেন। উইকিলিকস থেকে টুইটারে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, জাতিসংঘের তদন্ত দল যদি এই রায় দেয় যে তাকে আটক রাখা অবৈধ নয় তবে শুক্রবার স্বেচ্ছায় ব্রিটিশ পুলিশের কাছে ধরা দেবেন তিনি। আর যদি উল্টো হয়, অর্থাৎ রাষ্ট্রপক্ষ যদি পরাজিত হয় তবে নিজের পাসপোর্ট ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
সুইডেনে দুই নারীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ ওঠার পর ২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসের আশ্রয়ে আছেন অ্যাসাঞ্জ। তবে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়নি। অ্যাসাঞ্জের আশঙ্কা, তিনি সুইডেনে গেলে সুইডিশ সরকার তাকে গ্রেফতার করে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে প্রত্যর্পণ করবে, আর যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বিচারের নামে মৃত্যুদণ্ড দেবে। ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে বের হলে সুইডেন বা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে প্রত্যর্পণ না করার নিশ্চয়তা চান অ্যাসাঞ্জ। কিন্তু যুক্তরাজ্য সরকার এ রকম কোনও নিশ্চয়তা না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালে জাতিসংঘের শরণাপন্ন হন তিনি।
শুক্রবার সকালে জাতিসংঘের বিধিবহির্ভূত আটকবিষয়ক কার্যনির্বাহী সংগঠনের তরফে অ্যাসাঞ্জের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেয়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবারই রুল জারি করা হয়। সেই সঙ্গে জানানো হয়, শুক্রবার তদন্তের বিস্তারিত জানানো হবে।