মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সু চি
গণতন্ত্রকামী নেত্রী অং সান সু চি মিয়ানমারের নতুন প্রেসিডেন্ট হতে পারেন বলে আভাস দিয়েছে দেশটির সরকারপন্থি দুটি টিভি চ্যানেল।
এ লক্ষ্যে ২০০৬ সালে সেনাবাহিনী প্রণীত দেশটির সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা বাতিলের ব্যাপারে সু চি ও বর্তমান সেনাপ্রধান মিন অং লেংয়ের মধ্যে চলমান সমঝোতা প্রক্রিয়া থেকে ইতিবাচক ফলাফল আসতে পারে বলে খবরে বলা হয়েছে।
স্কাই নেট ও মিয়ানমার ন্যাশনাল টেলিভিশন নামে ওই দুটি চ্যানেল রোববার রাতে এ সংক্রান্ত আলাদা অথচ একই ধরনের খবর প্রচার করে।
মিয়ানমারের নতুন সংবিধানের ৫৯ [এফ] ধারা অনুযায়ী, বিদেশি স্বামী বা সন্তান রয়েছে এমন কোনো মিয়ানমারের নাগরিক দেশটির সর্বোচ্চ নির্বাহী পদ অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি এনএলডি’র প্রধান সু চির প্রয়াত স্বামী একজন ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন। এছাড়া তার দুই ছেলে সন্তানও ব্রিটেনের নাগরিক। তাই সংবিধানের উক্ত ধারা অনুযায়ী সু চি দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না। আর এই ধারাটিই বাতিল বা স্থগিতের লক্ষ্যে সমঝোতা চলছে সু চি ও বর্তমান সেনাপ্রধানের মধ্যে।
দীর্ঘ ৫০ বছর পর গত বছরের ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মিয়ানমারের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় সু চির দল এনএলডি। তা সত্ত্বেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় তিনি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতে পারছেন না।
সংবিধানের ৫৯ (এফ) ধারাটি বাতিল বা স্থগিত করতে হলে মিয়ানমারের পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন লাগবে। কিন্তু পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসন সেনাবাহিনীর দখলে বা তাদের জন্য সংরক্ষিত। তাই সু চির দল এনএলডির পক্ষে একা এই ধারা বাতিল করা সম্ভব নয়। এজন্য সু চিকে সেনাবাহিনীর সমর্থন নিতে হবে। সে লক্ষ্যেই সেনাবাহিনী ও সু চির মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে সমঝোতা ও আলোচনা চলছে।
এদিকে, গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও দীর্ঘ বাছাই প্রক্রিয়ার কারণে নতুন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা গ্রহণ করতে ৩১ মার্চ বা ১ এপ্রিল পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।