ইরাক ও সিরিয়ায় বিমান হামলা চালাবে না কানাডা
ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী থেকে নিজেদের বোমারু বিমানগুলো সরিয়ে নেবে কানাডা।
সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ত্রুদো জোট বাহিনীর বহরে থাকা কানাডার ছয়টি বোমারু বিমান প্রত্যাহার করে নেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন।
গেল অক্টোবরে কানাডার জাতীয় নির্বাচনে ক্রুদোর লিবারেল পার্টির জয়ের পরপরই তিনি বোমারু বিমানগুলো প্রত্যাহার করে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
কিন্তু ত্রুদোর সিদ্ধান্তে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উদ্যোগ দুর্বল হয়ে যেতে পারে আশঙ্কায় মিত্র দেশগুলো সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে চাপ সৃষ্টি করেছিল। ত্রুদোর আগে কানাডার পূর্ববর্তী রক্ষণশীল সরকারের নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৪-র নভেম্বর থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় বোমা হামলায় অংশ নিতে শুরু করে কানাডার বোমারু বিমানগুলো।
এক সংবাদ সম্মেলনে ত্রুদো বলেন, “আমরা সবকিছু করতে পারবো না। ওই অঞ্চলকে সহায়তার জন্য আমরা সর্বোচ্চ যা করতে পারি সেই কাজটি সঠিকভাবে করার জন্য আমরা আমাদের ইচ্ছানুযায়ী চলবো।
তিনি আরও বলেন, “যেসব মানুষ সন্ত্রাসের (আইএসের) মধ্যে প্রতিটি দিন পার করছে আমাদের প্রতিশোধ তাদের দরকার নেই, তাদের দরকার আমাদের সহায়তা।”
তিনি বলেন, এ ধরনের হামলা স্থানীয় কোনও সম্প্রদায়ের জন্য দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা বয়ে আনবে না। তার চেয়ে বরং সংকটাপন্ন সিরিয়া ও ইরাকে রাজনৈতিক সমাধান অধিক জরুরি। জাস্টিন ট্রুডো বলেন, বিমান প্রত্যাহার করে নিলেও কানাডা দায়েশবিরোধী লড়াইয়ে ইরাকি সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য স্পেশাল ফোর্সের সেনাসংখ্যা বাড়াবে। পাশাপাশি উত্তর ইরাকে কুন্দি সেনাদের প্রশিক্ষণে থাকা কানাডীয় সেনার সংখ্যা তিনগুণ বাড়িয়ে ২০০ জনে উন্নীত করবে। ইরাক ও সিরিয়ায় বিমান অভিযানের জন্য কানাডা বর্তমানে ৬৫০ জন সেনা মোতায়েন করেছে। এখন এ সংখ্যা বাড়িয়ে ৮৩০ করা হবে এবং ২০১৭ সাল পর্যন্ত মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের অংশ হিসেবে কাজ করবে। জাস্টিন ট্রুডোর হিসাব অনুযায়ী, পুরো মিশনে কানাডার খরচ হবে ১১৫ কোটি ডলার।
২২ ফেব্রুয়ারি নিজেদের বোমা হামলা অভিযান শেষ করবে কানাডা। কিন্তু জোট বাহিনীর বিমান বহরে দুটি গোয়েন্দা বিমানসহ জ্বালানি সরবরাহকারী বিমানও রাখবে দেশটি। কানাডার এসব সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।