শরণার্থী শিবিরে জার্মানীরাই আগুন লাগিয়েছে
দাউদাউ জ্বলছে যুদ্ধের কবলে ভিটেমাটি হারিয়ে জার্মানিতে আশ্রয় নেয়া শরনার্থীদের শিবির। আর অসহায় শরণার্থীদের প্রাণ বাঁচানোর আর্তনাদ শুনে খেদ মিটিয়ে হাসছে জার্মানরা।
গত শনিবার সকালে জার্মানির পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাউজেনে প্রায় ৩০০ শরণার্থীদের আশ্রয় শিবিরে (একটি হোটেল) আগুন লাগে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা এ দৃশ্য দেখে আনন্দ উল্লাস করছিল। স্থানীয় পুলিশ জানায়, খুব ভোরে অজানা উৎস থেকে লাগা আগুনে পুড়ছিল হোটেলটি। এ সময় অনেক মানুষ বাইরে জড়ো হয়। তারা অনেকেই নির্লজ্জভাবে হাসছিল।
আগুন লাগার পরপরই দমকল বাহিনী দ্রুত ছুটে আসে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। উদ্ধারকর্মীরা জানান, হোটেলটির ছাদ সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে কারো তেমন ক্ষতি হয়নি।
পুলিশ ধারণা করছে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের কেউ এ আগুন লাগিয়েছে। কেননা আগুন নেভানোর ব্যাপারে তাদের কোনো আগ্রহ ছিল না বরং নির্লজ্জভাবে হাসছিলো। এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে ছুটে আসা দমকল বাহিনীকে আগুন নেভানো থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছিল তারা।
কয়েকদিন আগে প্রায় একশোর মত স্থানীয় নাগরিক এখানে ‘বাড়ি যাও’ ‘বাড়ি যাও’ (গো হোম) বলে শরণার্থীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে। নিকটে অবস্থিত স্যাক্সনি শহরের একটি আশ্রয় শিবিরগামী শরণার্থীদের বাসের পথ আটকে রেখেছিল তারা। স্যাক্সনির গভর্ণর স্টানিস্ল টিলিস এ বৈরী আচরণের তীব্র নিন্দা করে বলেন, এটা খুবই ঘৃণ্য এবং লজ্জাজনক কাজ।