সাত বছরের মধ্যে ব্রিটিশ পাউন্ডের সর্বোচ্চ দরপতন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্কের প্রভাব পড়েছে ব্রিটিশ পাউন্ডের ওপরও। গত কয়েক মাস ধরেই পাউন্ডের দাম কমছিল। এর মধ্যে গতকাল মার্কিন ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের দাম পড়ে যায় দুই দশমিক এক শতাংশ। এক দিনে পাউন্ডের দরপতনের হিসাবে সাত বছরের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ দরপতনের ঘটনা।
বিবিসির খবরে বলা হয়, আসছে জুন মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটেনের থাকা না থাকা নিয়ে গণভোটের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রিটেন থাকবে কি থাকবে না, তা নিয়ে চলছে নানা বিতর্কও। এর প্রভাব ব্রিটিশ পাউন্ডের ওপর ভালোভাবেই পড়ছে। কেবল চলতি বছরেই মার্কিন ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের দাম কমেছে চার শতাংশের চেয়েও বেশি। কয়েক মাস ধরেই পাউন্ডের দাম কমে আসছিল ডলারের বিপরীতে। তবে গতকাল পাউন্ডের দাম কমেছে দুই দশমিক এক শতাংশ। এ সময় পাউন্ডের দাম নেমে দাঁড়ায় ১.৪১০২০ মার্কিন ডলারে, যা ২০০৯ সালের মার্চ মাসের পর থেকে পাউন্ডের একদিনে সর্বোচ্চ দরপতন। মার্কিন ডলার ছাড়াও ইউরো এবং জাপানি ইয়েনের বিপরীতেও দরপতন ঘটেছে পাউন্ডের। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রসঙ্গে ভোট অনুষ্ঠানের আগ পর্যন্ত এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
অনলাইন ব্রোকার এফএক্সপ্রোর প্রধান অর্থনীতিবিদ সাইমন স্মিথ বলেন, আমার মনে হয় না বিনিয়োগকারীরা ব্রেক্সিটকে (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বের হয়ে যাওয়াকে ব্রেক্সিট অভিহিত করা হচ্ছে) ভালো বা খারাপ বলছেন। এটা মূলত অনিশ্চয়তার নিদর্শন।