ইইউ ছাড়লে কর্মসংস্থান হারাবে ব্রিটেন
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যপদ ত্যাগ করলে কর্মসংস্থান হুমকি ও অর্থনৈতিক ধসে পড়বে ব্রিটেন। মঙ্গলবার ব্রিটেনের নামজাদা অধিকাংশ কোম্পানির নেতারা এমন আশংকা করেছেন। ব্যবসায়ী নেতাদের পক্ষ থেকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে দেয়া এক চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশটির ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ প্রশ্নে চরমভাবে মার খাবে, ফলে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক ক্ষেত্র হুমকির মুখে পড়বে। মঙ্গলবার সে চিঠি প্রকাশ করেছে দ্য টাইম।
প্রায় ১৯৮ জন ব্যবসায়ী নেতার সমন্বয়ে ওই চিঠি লেখা হয়েছে। এদের মধ্যে বিএই সিস্টেমের চেয়ারমান রগার কার, বিপির প্রধান নির্বাহী বব ডুডলি ও এফ-১ ম্যাকলারেনের প্রধান নির্বাহী রন ডেনিসসহ আরও অনেকে। ইইউ ছাড়ার বিপক্ষে রয়েছেন মার্ক, স্পেনসার, ভোডাফোন, বিটির মতো নামকরা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো। চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা বিশ্বাস করি যে, ইইউ থেকে সরে আসলে বিনিয়োগ ঘাটতির ফলে দেশে প্রায় ১২ লাখ লোক কর্মসংস্থান হারাবে।
এদিকে, বেশ কিছুদিন যাবত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটিশদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। শরণার্থী এবং অন্যান্য প্রশ্নে ইইউ’র সঙ্গে একটা সমঝোতা করতে ব্যর্থ হয়েছে ক্যামেরন। ইউরোপের সঙ্গে ব্রিটিশরা আদৌ থাকবে কিনা তার জন্য আগামী ২৩ জুন একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এ বিচ্ছেদ উদ্বেগে হুট করে পড়ে গেছে ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ডের দাম।
ইইউ পরিত্যাগের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে বিনিয়োগকারীরা এমনিতেই উদ্বিগ্ন ছিল। তার ওপর লন্ডনের জনপ্রিয় মেয়র বরিস জনসন ব্রিটেনের ইইউ পরিত্যাগ নিয়ে প্রচারণায় বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। সোমবার বিশ্বের অন্য প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে পাউন্ডের দাম পড়ে যায় উল্লেখযোগ্য হারে। ১ দশমিক ৪১ মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দাম কমে যায় ২ শতাংশ। এমনকি ইউরোর বিপরীতে এর দাম কমে যায় ১ দশমিক ৩ শতাংশ। তাছাড়া অনেক বড় বড় ব্যাংক ব্রিটেনকে ইউরোপের সঙ্গে থাকার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে ইতিমধ্যে। কারণ ইউরোপ ত্যাগ করলে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সামগ্রিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।