ই-লাইব্রেরি চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক
সাত হাজার ই-বুক ও ২৫ হাজার ই-জার্নাল নিয়ে ই-লাইব্রেরি চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব বই এখন থেকে অনলাইনে পড়া যাবে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ের সপ্তম তলায় এই লাইব্রেরির উদ্বোধন করেন ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান। ডেপুটি গবর্নর আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অর্থমন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব আসলাম আলম, ব্যাংকের পরিচালক হান্নানা বেগম, ড. মোস্তাফা কামাল মুজেরি, ড. সাদিক আহমেদ, অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্বনর আবুল কাশেম, এস.কে. সুর চৌধুরী, নাজনীন সুলতানা প্রমুখ।
গবর্নর বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ই-লাইব্রেরির তুলনায় ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ই-লাইব্রেরি কোন অংশেই পিছিয়ে নেই। আমি গবেষক, শিক্ষক। কিন্তু গবর্নর হবার পরে ওই পরিচয় দুটি ঢেকে গেছে। গবেষণার জন্য লাইব্রেরি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু লাইব্রেরি নয়, জ্ঞান চর্চার একটি মিলন মেলাও। যেখানে রয়েছে বিরল অনেক বই।
আতিউর রহমান বলেন, ১৯৬২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে মাত্র সাতশ’ বই ও জার্নাল নিয়ে যাত্রা করলেও বর্তমানে তা ৫৬ হাজারে উন্নীত হয়েছে।
হাসান রাজি বলেন, ই-লাইব্রেরিতে বর্তমানে প্রতিদিন কমপক্ষে একশ জন পড়ছেন। এতে রয়েছে সাত হাজার ই-বুক, ২৫ হাজার ই-জার্নাল, ১ হাজার সিডি ও ডিভিডি।
আসলাম আলম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকার অভাব নেই, পলিসি সাপোর্ট রয়েছে, বাকি ছিল উদ্যোগ। আজ সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের অগ্রগতির জন্যে আগামী ১০ বছরের জন্য মাস্টার প্লান করা দরকার। এ সময় তিনি আরও বলেন, ই-লাইব্রেরিটি আন্তর্জাতিক মানের হয়নি। এটি আন্তর্জাতিক মানের করতে হবে। তবে দেশীয় ই-লাইব্রেরির ক্ষেত্রে এটি হচ্ছে মডেল।
মোস্তাফা কামাল মুজেরি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ ই-লাইব্রেরি বাংলাদেশের জন্য অগ্রগণ্য উদাহরণ।
ড. সাদিক আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে বিশ্বমানে যেতে হলে পলিসি গ্রহণ ও গবেষণার ক্ষেত্রে অনলাইনে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ই-লাইব্রেরিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা জারিকৃত প্রজ্ঞাপন, ব্যাংকিং জার্নাল, গণমাধমের সংবাদ ক্লিপিং, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত বইসমূহসহ নানা বিষয় স্থান পেয়েছে।