বিদেশি মুদ্রা রিজার্ভে রেকর্ড ২৮ বিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার রির্জার্ভে সঞ্চয়ন ২৮ বিলিয়ন ডলারেরও নতুন উচ্চতা স্পর্শ করেছে। বৃহস্পতিবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ২৮ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান জানিয়েছেন।
আগের দিন রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভে উল্লম্ফনকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্যের দাম কমে আমদানি ব্যয় কমার পাশাপাশি রেমিটেন্স ও রফতানি প্রবৃদ্ধির সুফল হিসেবে দেখছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তা ছাইদুর রহমান।
মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মেয়াদের আমদানি বিল পরিশোধের আগ পর্যন্ত রিজার্ভ ২৮ বিলিয়ন ডলারের উপরেই অবস্থান করবে বলে আভাস দিয়েছেন ছাইদুর রহমান।
এর আগে গত বছর ২৯ অক্টোবর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন প্রথমবারের মতো ২৭ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের ৯০ কোটি ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে গিয়েছিল।
কাজী ছাইদুর বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও খাদ্য পণ্যের দাম কমে যাওয়ায় আমদানি বাবদ খরচ কম হচ্ছে। আবার চলতি মাসের ২১ দিনে প্রায় ১০০ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছে। রফতানি আয়েও ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। সে কারণেই রিজার্ভ ২৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।’
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে অর্থ্যাৎ জুলাই-জানুয়ারি সময়ে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮. ২৬ শতাংশ। রেমিটেন্স এসেছে ৮৬৪ কোটি ডলার। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ের প্রায় সমান।
প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এই রিজার্ভ দিয়ে সাত মাসের আমদানি বিল পরিশোধ করা সম্ভব।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি বিল মেটানোর সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন মজুদ থাকতে হয়। আকুর সদস্যভুক্ত দেশগুলো থেকে আমদানি করা পণ্যের বিল এক সঙ্গে দুই মাস পর পরিশোধ করা হয়ে থাকে। -বিডি নিউজ