পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠলো বাংলাদেশ। মিরপুরে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠলো মাশরাফির দল। পাকিস্তানের ১২৯ রানের জবাবে ৫ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাইগাররা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। দলীয় ১৩ রানে ইরফানের বলে লেগ বিফোর হয়ে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। এরপর সৌম্যের সাথে জুটি বাধেন সাব্বির। ৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ এক উইকেটে ৩০ রান। দলীয় ৪৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন ১৪ রান করা সাব্বির।
এর আগে সৌম্যকে নিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৩ রান যোগ করেন সাব্বির। সাব্বির বিদায় নিলেও বাংলাদেশের ইনিংসটাকে টানতে থাকেন সৌম্য-মুশফিক জুটি। ৩১ বলে এই জুটি থেকে আসে ৩৭ রান। দলীয় ৮৩ রানে মোহাম্মদ আমেরের বলে বোল্ড হন সৌম্য সরকার। মাত্র ২ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেনি নি এই ডাশিং ব্যাটসম্যান। ৫ চার ও একটি ছয়ে ৪৮ বলে ৪৮ রান করেন সৌম্য।
দলীয় ৮৮ রানে শোয়েব মালিকের বল রিভার্স সুইপ করতে গেলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন মুশি। দলীয় ১০৪ রানে আউট হন সাকিব আল হাসান। আমেরের বলে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
এর আগে ২০১২ সালের এশিয়া কাপ ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। সেবার এই পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২ রানে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল টাইগারদের।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ১২৯ রান করেছে পাকিস্তান। সরফরাজ খান ৫৭ ও শোয়েব মালিক ৪১ রান করেন। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে আল আমিন ও আরাফান সানি নেন দুটি করে উইকেট।
বাংলাদেশ দল : সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মাশরাফি মতুর্জা, আল আমিন, আরাফাত সানি ও তাসকিন আহমেদ।
পাকিস্তান দল : মোহাম্মদ হাফিজ, শেরজিল খান, খুররম মনজুর, উমর আকমল, শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ, আনোয়ার আলী, মোহাম্মদ সামি, মোহাম্মদ আমের ও মোহাম্মদ ইরফান।