প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যানের ফাঁসি কার্যকর
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া এলাকার আলোচিত ৫ খুন মামলার প্রধান আসামি আইয়ূব আলী চেয়ারম্যানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কাশিমপুর কারাগারে আইয়ূব আলীর ফাঁসি কার্যকর হয়।
বুধবার ভোরে পরিবারের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হয় এবং আইয়ূব আলীকে বাঘড়া এলাকার নিজ বাড়িতে দাফন করা হবে।
গত রবিবারই তার ফাঁসির রায় কার্যকর করার কথা ছিল। পরে তা স্থগিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ৭ জুলাই বাঘড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ূব আলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাঘড়া স্বরূপচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন নিকারী বাড়িতে পরাজিত চেয়ারম্যান মনোয়ার আলী তার সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনীর সদস্য দুলাল, হাশেম ও বাদশাসহ কয়েকজকে নিয়ে অবস্থান নেয়। আইয়ূব আলীর লোকজন ওই বাড়ি ঘেরাও করলে বাদশার গুলিতে আইয়ূব আলীর ভাতিজা আলাউদ্দিন নিহত হন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন পুলিশের উপস্থিতিতে দুগ্রুপের মধ্যে দিনব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ ২ শতাধিক আহত হন ও ইসমাইল নামে আইয়ূব আলী গ্রুপের আরেকজন মারা যান। পরে বিকালে উত্তেজিত জনতা পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাফ পরিহিত অবস্থায় মনোয়ার আলী, বাদশা ও হাশেম আলীকে ছিনিয়ে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় শ্রীনগর থানার এসআই ইকবাল বাহার বাদী হয়ে ৪ হাজার লোককে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
পরে মামলাটি সিআইডিতে ন্যস্ত হলে মামলায় আইয়ূব আলীকে হুকুমের আসামি করা হয়।
আদালত ২০০৫ সালে আইয়ূব আলীর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেন। আপিল বিভাগ ২০১৩ সালে এ রায় বহাল রাখেন। সম্প্রতি আইয়ূব আলী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে ব্যর্থ হন।
এ মামলায় আইয়ূব আলীর ছেলের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। আইয়ূব আলী বাঘড়া ইউনিয়নের ৩ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। সর্বশেষ মামলা চলাকালীন ২০০৩ সালে জেলে থাকাবস্থায়ও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।