ইতালী ও লিবিয়া থেকে বাংলাদেশীসহ দেড় হাজার অভিবাসী উদ্ধার
লিবিয়ায় ৪টি নৌকা থেকে বাংলাদেশীসহ ৬০০ অভিবাসন প্রত্যাশী এবং ইতালীর কোস্টগার্ড ভিন্ন ৪টি অভিযানে ৯ শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে।
লিবিয়ার নৌ-বাহিনীর মূখপাত্র আইয়ুব কাসিম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, চারজন নারীর লাশ পাওয়া গেছে। কয়েকজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
কাসিম জানান, শনিবার লিবিয়া পশ্চিম অঞ্চল থেকে উদ্ধার হওয়ারা বাংলাদেশীসহ, সাব-সাহারার আফ্রিকা অঞ্চলের নাগরিক।
তিনি জানান, বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন অভিযানে ৫৫০ জনের বেশি অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়। ইতালীর কোস্টগার্ড রয়টার্সকে জানান, শনিবারের ২টি অভিযানে তারা ৩৭০ জনকে উদ্ধার করেছে।
তবে উদ্ধার হওয়া নাগরিক ঠিক কোন দেশের সে বিষয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তারা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বর্তমান সময়কে সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটের সময় হিসেবে ধরা হচ্ছে। ২০১৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইউরোপে আনুমানিক ১২ লক্ষ মানুষ শরণার্থী হিসেবে পৌঁছেছে। এদের বেশিরভাগই আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের নাগরিক।
ইতালীর কোস্টগার্ড প্রায়ই অভিযান চালিয়ে অভিবাসীদের আটক করে থাকে। এ কারণে বেশিরভাগ মানুষই ইউরোপে যাওয়ার সহজ রাস্তা হিসেবে গ্রিসের রাস্তাটি ব্যবহার করে থাকে বলে কোস্টগার্ড সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে লিবিয়াকে মানবপাচারের নেটওয়ার্ক হিসেবে ব্যবহার করে থাকে পাচারকারীরা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ ব্যপারে বেশ কয়েকবার লিবিয়া কর্তৃপক্ষকে সতর্কতা অবলম্বনের তাগিদ দিয়েছে।