ব্রিটেনে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় নতুন নিয়ম ৬ এপ্রিল থেকে

Workpermitওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ৬ এপ্রিল থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হচ্ছে। এতে বলা হয়েছে যারা ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে ব্রিটেনে আছেন, তাদের আয় যদি বছরে ৩৫ হাজার পাউন্ডের কম হয় তাহলে তারা ব্রিটেন স্থায়ী হওয়ার সুযোগ পাবেন না। সর্বোচ্চ ৬ বছর তারা ব্রিটেনে বসবাস করতে পারবেন। এরপর তাদের অবশ্যই দেশে ফেরত যেতে হবে। অন্যথায়, তারা বিতাড়নের শিকার হবেন। আইনটি আগামী ৬ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। নতুন এই আইনের কারণে এনএইচএস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন খাতের অনেক দক্ষকর্মীকে ব্রিটেন ছাড়তে হবে। তবে নার্সিং পেশাকে এই আইন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এতদিন টানা পাঁচ বছর ওয়ার্ক পারমিটে থাকার পর একজন বিদেশি নাগরিক ব্রিটেনে স্থায়ী বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করতে পারতেন। এ জন্য আয়ের কোনো সীমা নির্দিষ্ট ছিলো না।
এই আইন কার্যকর না করতে এরই মধ্যে এক লাখ ব্রিটিশ নাগরিকের সই করা একটি আবেদন সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে, এই আইনটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ এবং অভিবাসীদের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য প্রচুর সময় দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও আইনটি প্রায় সব দলের সমর্থন পেয়েছে।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘অতীতে যেকোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেশের নাগরিকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ তৈরি না করে খুব সহজেই বিদেশ থেকে কর্মী ভাড়া করে আনত।’ এভাবে বেতন দিলে ব্রিটিশ কম্পানিগুলোকে ১৮১ ও ১৭১ মিলিয়ন পাউন্ডের মাঝামাঝি বাড়তি ব্যয় করতে হবে। বেসরকারি হিসাবে এ অঙ্ক আরো বেশি, প্রায় ৭৬১ মিলিয়ন পাউন্ড। ব্রিটিশ সরকার মনে করে, নতুন নিয়মের কারণে মোট অভিবাসীর সংখ্যা বেশ পরিমিতভাবেই কমবে। এই আইন বলবৎ হলে বিদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য মাঝারি আয়ের নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করেন ওই মুখপাত্র।
সরকারি কর্মকর্তারা জানান, টিয়ার-২ ভিসায় যারা ২০১১ সালে ব্রিটেনে কাজ করতে এসেছে তারা এই পরিবর্তনের কথা ভালো করেই জানেন। ওই বছর ৫ এপ্রিলের আগে যারা ব্রিটেনে ঢুকেছে তাদের জন্য এই আইন প্রযোজ্য হবে না।
এদিকে, স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসাসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আরও কিছু পরিবর্তন আসছে এপ্রিল থেকে। তবে সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হলো, আগে ডোমেস্টিক ওয়ার্কাররা ব্রিটেনে এসে অন্য এমৗয়ারের অধীনে কোনো চাকরি নেয়ার সুযোগ পেতেন না। নতুন নিয়মে তারা ব্রিটেনে আসার ছয় মাস পর চাইলে অন্য চাকরিতে যুক্ত হতে পারবেন এবং ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া আগে অ্যাসাইলাম সিকাররা তাদের আবেদন বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় এক বছর পর্যন্ত কোনো কাজের অনুমতি পেতেন না। এখন সেটা ছয়মাসে নামিয়ে আনা হয়েছে। অর্থ্যাত অ্যাসাইলাম সিকাররা তাদের আবেদন বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ৬ মাস পার হলে চাকরি করার অনুমতি পাবেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button