আল আকসা মসজিদের চারদিকে মনিটরিং ক্যামেরা বসাবে জর্ডান
পবিত্র আল আকসা মসজিদে ইসরাইলিরা নিয়ম লঙ্ঘন করছে কিনা তা মনিটরিং করতে কিছুদিনের মধ্যেই ওই মসজিদের চারদিকে নিরাপত্তা ক্যামেরা বসাবে জর্ডান। রোববার দেশটি এ ঘোষণা দিয়েছে। পবিত্র এই মসজিদকে কেন্দ্র করে ইসরাইলের ইহুদি ও ফিলিস্তিনি মুসলিমদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরই প্রেক্ষিতে সেখানে পরিস্থিতিকে শান্ত রাখার জন্য ক্যামেরা বসানোর একটি পরিকল্পনা অক্টোবরে অনুমোদন দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। তাতে সম্মতি দিয়েছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু তখন জর্ডান পরিচালিত ট্রাস্ট ‘ওয়াকফ’ অভিযোগ করেছিল যে, ক্যামেরা বসাতে বাধা সৃষ্টি করেছে ইসরাইলি পুলিশ।
উল্লেখ্য, ওই স্থাপনার প্রশাসনিক কার্যক্রম দেখাশোনা করে ওয়াকফ। জর্ডানের ইসলামিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী হায়েল দাউদ বলেন, আল আকসা মসজিদে সার্বক্ষণিক ভিডিও নজরদারি করতে একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ইসরাইলিরা নিয়মের লঙ্ঘন করলে ও কোন আগ্রাসন চালালে এ ফুটেজ অনলাইনে প্রমাণ হিসেবে প্রচার করা হবে। তবে এ নজরদারি করতে মসজিদের ভিতরে কোন ক্যামেরা বসানো হবে না। এর আগে এ স্থাপনার প্রশাসনিক শৃংখলা পরিবর্তন করছে এমন আতঙ্কে মুসলিমরা এর ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তখন ইসরাইলি নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী ও ফিলিস্তিনি যুবকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বলছেন, প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার কোন পরিকল্পনা নেই। বার্তা সংস্থা এএফপির হিসাব অনুযায়ী আল আকসাকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় ১লা অক্টোবর থেকে ১৯৮ ফিলিস্তিনি, ২৮ ইসরাইলি, ২ মার্কিনি, একজন ইরিত্রিয় নাগরিক ও একজন সুদানি নিহত হয়েছেন। এ মসজিদটি জেরুজালেমের পূর্বে অবস্থিত। ১৯৬৭ সালে জর্ডানের কাছ থেকে এর অধিকার কেড়ে নেয়া হয়। পরে পবিত্র এ স্থাপনার রক্ষকের অধিকার ফিরে পায় জর্ডান। এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে জর্ডানিয়ান ওয়াকফ। তবে তাদেরকে এখানে কার্যক্রম চালানোর বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে ইসরাইল। আল আকসা মসজিদকে ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইহুদিরাও একে তাদের পবিত্র স্থাপনা বলে মনে করে। তাদের কাছে এটি টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত।