১০০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো প্রকৃতিতে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা
শত বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী গণনাকৃত বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংগঠনগুলোর সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী বর্তমানে বাঘের সংখ্যা অনুমানিক ৩ হাজার ৮৯০। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণনাকৃত বাঘের সংখ্যা বাড়ার মানে এই নয় যে বিশ্বে বাঘের সংখ্যা বাড়ছে। তারা মনে করেন, গণনাপদ্ধতির অগ্রগতির কারণেই বেশি সংখ্যক বাঘ জরিপের আওতায় আসছে।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড এবং গ্লোবাল টাইগার ফোরামের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে বিশ্বব্যাপী বাঘের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ২০০টি। আর সবশেষ ২০১৪ সালের গণনায় আনুমানিক ৩ হাজার ৯শ বাঘের সন্ধান পাওয়ার পর শতাব্দীর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গণণাকৃত বাঘের সংখ্যা পূর্ববর্তী গণনাকৃত সংখ্যার চেয়ে বেশি হলো। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখানে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি আসলে গণনা পদ্ধতির সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট। উন্নত গণনা পদ্ধতিতে এখন অনেক বেশি এলাকায় জরিপ চালানো সম্ভব হচ্ছে, আর এজন্যই বেশি সংখ্যক বাঘকে গণনার আওতায় পাওয়া যাচ্ছে। আর ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড-এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিনেট হেমলী বলেন, ‘বাঘের সংখ্যাবৃদ্ধি থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো তাদের নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও পরিকল্পনা। সেক্ষেত্রে আমরা সঠিক পথেই এগোচ্ছি।’ হেমলী বলেন, ‘মুশকিলটা হয় তখন, যখন আপনি রাজনৈতিক বিবেচনায় কিছু করে থাকেন। আর যদি আপনি বাঘের জন্য সংরক্ষিত আবাস নিশ্চিত করতে পারেন, আাটকাতে পারেন শিকারীদের, তখন বাঘের সংখ্যা এমনিতেই বাড়বে। এটাই সাধারণ নীতি। আর আমরা এর ভিত্তিতেই কাজ করছি।’
২০১৪ সালের জরিপ অনুসারে বাংলাদেশে থাকা বাঘের সংখ্যা ১০৬টি। এছাড়া ভুটানে ১০৩, চীনে ৭টি, ভারতে ২২২৬টি, ইন্দোনেশিয়ায় ৩৭১টি, লাওসে ২টি, মালয়েশিয়ায় ২৫০টি, নেপালে ১৯৮টি, রাশিয়ায় ৪৩৩টি, থাইল্যান্ডে ১৮৯টি এবং ভিয়েতনামে ৫টি বাঘের সন্ধান মিলেছে।