সৌদি আরব সফরে ওবামা
আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে সৌদি আরব সফরে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বুধবার বিকেলে তিনি রিয়াদে পৌঁছেন। বারাক ওবামা এ সফরের প্রথম দিনে বুধবার ৮০ বছর বয়সী সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের সাথে এক ব্যক্তিগত সাক্ষাতে মিলিত হবেন। বৃহস্পতিবার তিনি গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সৌদি আরব, বাহরাইন, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও ওমানের নেতৃবৃন্দের উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিবেন।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সফর সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনেই দুই দেশের মধ্যকার ৭১ বছরের পুরোনো কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কের টানটান অবস্থার আভাস পাওয়া গেছে।
সফরে বারাক ওবামার সঙ্গী হচ্ছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার। এ সফরের বিষয়ে কার্টার বলেন, এ অঞ্চলে ইরানের নানা অস্থিতিশীল কার্যক্রমকে প্রতিহত করতে আরব উপসাগরের দেশগুলোর কাছে সামরিক ও নৌ অভিযানের সাহায্য চাওয়া হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন নিয়ে হোয়াইট হাউসের হতাশার চিত্রও মাঝেমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে।
তবে এটাও ঠিক, দুই দেশের সম্পর্ক এখনো ভেঙে যায়নি। এখনো সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশেরই দুই দেশকে দরকার।
সব সময়ই এ অঞ্চলে সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ইরান। সেই ইরানের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনই মূলত সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কের সুতা ঢিলা হয়ে যাওয়ার কারণ।
শুধু তা-ই নয়, টুইন টাওয়ারে বিমান হামলার ঘটনায় সৌদি আরবকে দায়ী করে মার্কিন সিনেটে পাস হতে যাওয়া একটি বিলের কারণেও দেশ দুটির মধ্যকার আস্থার সম্পর্কে ছেদ পড়েছে।
সৌদি আরব সফর শেষে আগামী সপ্তাহে বারাক ওবামা যুক্তরাজ্য ও জার্মানি সফর করবেন।