শাহজালালের নিরাপত্তায় এবার মার্কিন কোম্পানি

Shahjalalহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় গত মাসেই যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান রেডলাইন অ্যাসিউরড সিকিউরিটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এবার বিমানবন্দরটির নিরাপত্তার দায়িত্বে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সরকারকে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রস্তাব দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রতিনিধি দল।
তবে কীভাবে দেশটি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কার্যক্রমে যুক্ত হবে, তা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী এক-দুই মাসের মধ্যেই শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রায় সাত বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটির (এফএএ) মানদণ্ডে বেবিচকের অবস্থান ক্যাটাগরি-২-এ। ফলে চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহুল প্রতীক্ষিত নিউইয়র্ক রুটের সরাসরি ফ্লাইট। এ অবস্থায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে যুক্ত হওয়ার আগ্রহকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে বাংলাদেশ।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি চৌধুরী বলেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) নির্দিষ্ট মানদণ্ড রয়েছে। এর পাশাপাশি প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব কিছু চাহিদা রয়েছে। এসব বিবেচনায় রেখেই বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের চিন্তা করা হচ্ছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, যুক্তরাজ্য, কানাডা, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের প্রস্তাব বিবেচনায় রেখেই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হবে।
২০১৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট নিষিদ্ধ করে। পরবর্তীতে গত ৮ মার্চ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ঢাকা থেকে সরাসরি কার্গো পরিবহন নিষিদ্ধ করে যুক্তরাজ্যও। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের প্রস্তাব অনুযায়ী, গত ২১ মার্চ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ও প্রশিক্ষণ কাজের জন্য যুক্তরাজ্যের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রেডলাইন অ্যাসিউরড সিকিউরিটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে বেবিচক।
চুক্তি অনুযায়ী, রেডলাইন বিমানবন্দরে তিন ধরনের কাজ করবে। পরামর্শ ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি তদারকের পাশাপাশি বিমানবন্দরে যেসব জনবল আছে তাদের পরিচালনা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। আগামী দুই বছরের জন্য রেডলাইনকে এ দায়িত্ব দেয়া হলেও ছয় মাস পর অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে।
এদিকে ক্যাটাগরি-২-এ থাকায় বেবিচক থেকে অনুমোদন নেয়া সংস্থার উড়োজাহাজ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বেশকিছু দেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পাচ্ছে না। একই কারণে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো উড়োজাহাজেরও সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি নেই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বহুল প্রপ্রীক্ষিত বিমানের নিউইয়র্ক রুটটিতে সরাসরি ফ্লাইট চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button