প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে লন্ডনে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ
ব্রিটিশ সংসদের একজন সদস্য বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংসদে বাংলাদেশ সংক্রান্ত সর্বদলীয় কমিটির সহ-সভাপতি সায়মন ড্যানজুক অভিযোগ করেছেন, যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং বাক স্বাধিনতা ‘ধসে পড়েছে।‘
তবে লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনের কর্মকর্তারা ড্যানজুক-এর এই বক্তব্যকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ এবং ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুলগেরিয়াতে একটি নারী বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দেবার পথে রোববার লন্ডনে পৌঁছালে তাঁর পক্ষে এবং বিপক্ষে পাল্টা-পাল্টি বিক্ষোভ হয়েছে।
বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপি-র যুক্তরাজ্য শাখা লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সেন্ট জেমস্’স হোটেলের সামনে এক বিক্ষোভের আয়োজন করে।
অন্যদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থকরা গোলাপ ফুল হাতে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে একই হোটেলের সামনে অবস্থান নেয়।
বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে দেশে ফিরে যাবার দাবী জানিয়ে স্লোগান দেয়।
তারা যেসব প্ল্যাকার্ড বহন করছিলেন তাতে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী মত ‘দমন’ এবং ‘গণতন্ত্রকে বিপন্ন’ করার অভিযোগ করা হয়।
যুক্তরাজ্য বিএনপির বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন দিয়ে ড্যানজুক এক বিবৃতিতে সিরিয়ার উদাহরণ টেনে বলেন বাংলাদেশ ‘ব্যর্থ রাষ্ট্রে’ পরিণত হলে সেটা ব্রিটেনের জন্য উদ্বেগের কারণ হবে।
‘বাংলাদেশে সংঘাত যদি বাড়তে থাকে তাহলে অনেক বেশি মানুষ নিরাপত্তার সন্ধানে সীমান্ত অতিক্রম করবে। আমি বলবো, অনেক বাংলাদেশী উদ্বাস্তু এ দেশে আসতে পারে এবং সেই পরিস্থিতি সামাল দেয়া ব্রিটেনের জন্য কঠিন হবে,’ তিনি বলেন।
তাঁর বক্তব্য খণ্ডন করে বাংলাদেশ হাই কমিশনের মুখপাত্র নাদিম কাদির বলেন, ড্যানজুক শুধুমাত্র বিএনপি-জামাতের বুলি আওড়াচ্ছেন।
‘ড্যানজুক সব সময়ই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছেন। তবে তাঁর উচিত বাংলাদেশে এসে দেখে যাওয়া দেশের গণমাধ্যম কী ধরণের স্বাধীনতা ভোগ করছে,’ নাদিম কাদির বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মাসের ১৮ তারিখে বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়াতে অনুষ্ঠেয় ‘গ্লোবাল উইমেন লিডার্স ফোরাম’-এ প্রধান বক্তা হিসেবে যোগ দেবেন। -বিবিসি বাংলা