এবার জনতা ব্যাংকের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ
সোনালী ব্যাংকের পর এবার ভুয়া এলসির মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান জনতা ব্যাংক লিমিটেড থেকে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে ৭টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। এর আগে সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা লোপাট করে হলমার্ক গ্রুপ। লোপাটকারীদের বিচার না হওয়াতেই আবার এই অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটলো। অভিযুক্ত ৭টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ যাচাই-বাছাই এ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক বৈঠকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
এজন্য দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বে ২ সদস্য বিশিষ্ট একটি অনুসন্ধানী টিম গঠন করা হয়েছে। দুদকের একটি ঊর্ধ্বতন সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দুদকে আসা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রথমে জনতা ব্যাংকে হিসাব খোলেন লিটুন ফেব্রিকস, রাঙ্গা সোহেল, রাঙ্গা ডেনিম, ইব্রাহীম কটন, বিআরবি স্পিনিং, চৌধুরী টাওয়েলস, গ্যালাক্সী সোয়েটার এন্ড ইয়ার্ন ডায়নিং নামের ৭ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। পরে এসব প্রতিষ্ঠান মালামাল আমদানির নামে ভুয়া এলসি খোলে। তাদের খোলা ভুয়া এলসিগুলোর বিপরীতে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পৃথকভাবে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকটির এই বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে ওই জালিয়াতি চক্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত মঙ্গলবার ১৭ মে এই বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আসলে তা আমলে নিয়ে যাচাই-বাছাই শাখায় পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাই কমিটি এই অভিযোগটি যথাযথ বলে অনুসন্ধানের জন্য সুপারিশ করেন। সেজন্য কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল তার অনুসন্ধান শুরু হলো।
তিনি আরও জানান, দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে ওই অনুসন্ধান কাজের তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করে ২ সদস্য বিশিষ্ট টিম গঠন করেছে কমিশন। ওই টিমের অন্য সদস্য হচ্ছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। অনুসন্ধানের পর বিস্তারিত তথ্য জানানো যেতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।