কারিশিল্প বাঁচাতে ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠক

Cameronকারিশিল্প বাঁচাতে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শিল্প সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে কারিশিল্পে নেতিবাচক পরিণতি এড়ানোর লক্ষ্যে জরুরি সমাধানের নানা উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। বছরে ৪২০ কোটি পাউন্ডের এই শিল্পের সঙ্গে তাল মেলাতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রকল্প থেকে কতজন শেফ তৈরি হচ্ছে এবং তাদের মান কেমন আলোচনায় ওঠে আসে তাও। কারি শিল্পের সংকট উত্তোরণে বেশকিছু দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প হাতে নেয়া হলেও বেশিরভাগ বৃটিশ এতে আগ্রহী নয়। এ কারণে প্রতিনিধি দল ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে দক্ষ শেফদের অস্থায়ী ভিসা দিয়ে বৃটেনে নিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং মধ্যপ্রাচ্যে এ ধরনের অস্থায়ী ভিসার প্রচলন রয়েছে।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেছেন, এ ধরনের অস্থায়ী ভিসা বৃটিশ করদাতাদের ওপর কোনো বোঝা হবে না। এ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলে বৃটেনের কারিশিল্পকে বর্তমান সংকট থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। বৃটেনে কর্মী সংকটের কারণে প্রতি সপ্তাহে দু’টি করে ভারতীয় রেস্তরাঁ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বৃটেনের ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে আসা কর্মীদের ২৯,৫৭০ পাউন্ড উপার্জন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কারি শেফদের বেতন সাধারণত ২৫ হাজার পাউন্ডের কাছাকাছি হয়ে থাকে। শেফদের আবেদন প্রায়ই প্রত্যাখ্যান হয়ে থাকে। প্রতিনিধি দলের প্রধান এনাম আলি এমবিই সতর্ক বার্তা দিয়ে বলেছেন, বর্তমান প্রক্রিয়া অনেক জটিল ও সময়সাপেক্ষ। রেস্তরাঁ মালিকদের এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পরামর্শক খরচ বহন করতে হয়। পুনরায় স্পন্সর লাইসেন্সের আবেদন করার জন্য ৬ মাসের নির্ধারিত বিরতি হয়তো আরো সহজ করা যেতে পারে। হয়তো আপিলের অধিকারও যোগ করা যেতে পারে। এছাড়া, যেসব শেফের বৈধ ভিসা কার্ড আছে কিন্তু তাদের নিয়োগদাতার লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে তারা ইউকেবিএ কর্তৃক মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত অন্যত্র নিয়োগ নিতে পারে না। আর এ ধরনের পরিস্থিতি সমাধা হতে কয়েক মাস থেকে বছর পর্যন্ত লাগে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করা প্রতিনিধি দলে ছিলেন, এনাম আলি এমবিই (এফআইএইচ এডিটর অব স্পাইস বিজনেস ম্যাগাজিন), শানোর খান (সেক্রেটারি জেনারেল বৃটিশ বাংলাদেশ ক্যাটারার এসোসিয়েশন), আব্দুল মুহাইমিন মিয়া (টেমস ভ্যালি গিল্ড অব বাংলাদেশি রেস্টুরান্টারের প্রেসিডেন্ট), শফিকুল ইসলাম (রেস্টুরেন্টে সরবরাহ প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিক লিমিটেডের পরিচালক), অ্যালান স্পেরিং (চিলি পিকল রেস্টুরেন্টের পরিচালক), শাহ জালফুকার আলি (ডাব্বাওয়ালের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক), ড. সানোয়ার চৌধুরী (টিভি উপস্থাপক ও উদ্যোক্তা), জাহাঙ্গীর হক (কাউন্সিলর ও রেস্টুরান্টার) এবং বশির আহমেদ (ফ্রাঞ্চাইজ রেস্টুরেন্ট গ্রুপের পরিচালক।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button