নিবন্ধিত সিম জালিয়াতি : প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা
বাংলাদেশে বায়োমেট্রিক বা আঙুলের ছাপ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা বেশ কিছু সিম জালিয়াতির ঘটনা ঘটনার পর বিস্ময় প্রকাশ করেছে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা।
পুলিশ বলেছে অপরাধীরা নিজেদের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে অন্যজনের সিম তুলে নিয়েছে।
সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন সময় বলা হয়েছিল বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন হলে জালিয়াতির ঘটনা ঘটবে না।
কয়েকদিন আগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় একজন নারী হঠাৎ করে লক্ষ্য করেন যে তার মোবাইল সংযোগটি বন্ধ হয়েছে।
এরপর তিনি নিকটস্থ মোবাইল ফোন সেন্টারে গেলে তাকে জানানো হয় যে তার সংযোগটি অন্য একজন তুলে নিয়েছে। এরপর সে নারী বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন।
এভাবে অপরাধীচক্র বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত প্রায় ১৫০টি সিম তুলে নেয়।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আক্তার বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন অপরাধীরা প্রকৃত মালিকদের অগোচরে এ কাজটি করেছে।
পুলিশ সুপার জানান যারা জালিয়াতি করেছে তারা নিজেদের আঙুলের ছাপ করে অন্যজনের সংযোগ তুলে নিয়েছে।
তিনি বলেন, “ প্রকৃত মালিকরা কেউ ব্যবসায়ী, কেউ স্টুডেন্ট। একজনের সিম সচল থাকা অবস্থায় অন্যজন সেটি তুলতে পারার কথা নয়। একই ভোটার আইডি দিয়ে অনেকগুলো সিম তুলেছে। ”
সর্বশেষ এ জালিয়াতির পর গ্রাহকের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে কি নতুন করে প্রশ্ন দেখা দিল? মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর সংগঠন অ্যামটবের সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির মনে করেন এটা ‘সম্ভব’ নয়।
তিনি বলেন, “আমার জানা নেই ঘটনাটা কিভাবে ঘটেছে। প্রকৃত কথাগুলো আমাদের জানতে হবে। আসলে কী ঘটেছে সেটা দেখতে হবে।”
পুলিশ বলছে যে ১৫০টি সিমের ক্ষেত্রে এই জালিয়াতি হয়েছে সেগুলো একটি মোবাইল কোম্পানির। এ নম্বরগুলো মোবাইল ফোনে টাকা লেনদেনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা ছিল।
অপরাধীরা জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা বলছেন জালিয়াতি হবার কথা নয়।কিন্তু কর্মকর্তারা যাই বলুক বাস্তবে জালিয়াতি হয়েছে।
বিটিআরসির কর্মকর্তারা বলছেন যে মোবাইল কোম্পানিগুলোর সিমের ক্ষেত্রে এই জালিয়াতি হয়েছে , সে মোবাইল কোম্পানির নিরাপত্তায় কোন ত্রুটি আছে কিনা সেটি তারা খতিয়ে দেখবেন।