ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় পেলেন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট
ব্রিটেনে রাজনৈতিক শরণার্থীর মর্যাদা পেলেন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মেদ নাশিদ। গতকাল সোমবার নাশিদের আইনজীবী এ তথ্য জানিয়েছেন। গত জানুয়ারিতে তিনি চিকিৎসার জন্য ব্রিটেনে আসেন।
সাবেক মানবাধিকারকর্মী নাশিদ ২০০৮ সালে মালদ্বীপের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। ওই নির্বাচন দ্বীপদেশটির সাবেক ‘লৌহমানব’ মামুন আব্দুল গাইয়ুমের তিন দশকব্যাপী শাসনের অবসান ঘটায়।
এক বিচারককে গ্রেপ্তারের আদেশ দেওয়ার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ২০১২ সালে নাশিদকে আটক করা হয়। এর কয়েকমাস পরে সেনা বিদ্রোহ ও গণবিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
নাশিদ অভিযোগ করেন, অভ্যুত্থান ঘটিয়ে তাকে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়েছে।
কিন্তু পদত্যাগের পর তার স্থলাভিষিক্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট নাশিদের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন ২০১৩ সালে এক বিতর্কিত নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন হন। সাবেক প্রেসিডেন্ট গাইয়ুমের সৎ ভাই তিনি।
সোমবার নাশিদের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, “মালদ্বীপ স্বৈরাশাসকদের কবলে চলে যেতে থাকায়, আমি এবং অন্যান্য বিরোধীদলীয় রাজনৈতিকরা অনুভব করছি এই সময়ে কাজ অব্যাহত রাখতে আমাদের নির্বাসনে যাওয়া ছাড়া অন্যকোনো উপায় নেই।”
নাশিদের আইনজীবী হাসান লতিফ বলেন, নাশিদ ব্রিটেনে রাজনৈতিক শরণার্থীর মর্যাদা পেয়েছেন। তবে শ্রীলঙ্কায় ব্রিটিশ হাইকমিশন এবং সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।