বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হতে চায় যুক্তরাজ্য

PMব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বাংলাদেশের উন্নয়নে ব্রিটেনের অংশীদারিত্বে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার জাপানের নাগোয়াতে শিল্পোন্নত দেশসমূহের সম্মেলন জি-৭ এর আউটরিচ বৈঠকের সাইড লাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এই আগ্রহের কথা জানান।
ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের অংশীদার হতে ইচ্ছুক।’
শিমা কানকো হোটেলে দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এ কথা জানান।
শহীদুল হক বলেন, অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং একযোগে কাজ করার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছান।
তিনি বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় মূলত দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত ও বিনিয়োগের বিষয় প্রাধান্য পায় এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি অর্জনে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে আকাশ পথের নিরাপত্তা জনিত বিষয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়টি উল্লেখ করে ক্যামেরন সাম্প্রতিক অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে আসার বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়েও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অভিমত জানতে চান।
উত্তরে প্রধানমন্ত্রী জোটবদ্ধ থাকার বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষেই অভিমত ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্য পুরো বিষয়টি আবারও গুরুত্ব সহকারে ভেবে দেখতে পারে, কেননা এর সঙ্গে অনেক মানুষের ভাগ্য জড়িয়ে আছে।
পররাষ্ট্র সচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন- তিনি মনে করেন, যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত থাকলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত তিনজন যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য এবং যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশীরাও চায় যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে থেকে যাক।
প্রসঙ্গত, বিশ্বে বাংলাদেশী পণ্যের একটি বৃহৎ বাজার হচ্ছে যুক্তরাজ্য।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button