সাদিক খান গর্বিত মুসলিম ও গর্বিত ব্রিটিশ : ক্যামেরন
কয়েকদিন আগেই লন্ডনের মেয়র নির্বাচনের সময় বর্তমান মেয়র সাদিক খানের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। সাদিক খান জঙ্গি সংগঠন আইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলেও মন্তব্য করেন ক্যামেরন। এর কয়েক সপ্তাহ পরে এসেই ভোল পাল্টালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তার মুখে এবার উল্টো সুর।
যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে এক প্রচারণায় অংশ নিয়ে ক্যামেরন বলেছেন, ‘সাদিক খান একজন গর্বিত মুসলিম এবং একজন গর্বিত ব্রিটিশ।’ ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন টরি পার্টির মতো সাদিক খানও চান যুক্তরাজ্য ইইউ’তে থাকুক। নিজেদের মধ্যকার ঐকমত্যকে ‘অসাধারণ জোট’ বলে মন্তব্য করেছেন ডেভিড ক্যামেরন।
ক্যামেরন বলেন, ‘আমি এখানে এরকম গুরুত্বপূর্ণ, ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে লন্ডনের মেয়র, যিনি লেবার পার্টির সদস্য, তার সঙ্গে একমঞ্চ ভাগ করে নিতে পেরে গর্বিত। এমন একজন যিনি একজন গর্বিত মুসলিম, একজন গর্বিত ব্রিটিশ এবং লন্ডনের একজন গর্বিত বাসিন্দা। তিনিই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নগরের মেয়র হতে পারেন। এটি আমাদের দেশ সম্পর্কে সবাইকে একটি বার্তা দেয়।’
সোমবার ক্যামেরন ও সাদিক একসঙ্গে ‘এ ব্রিটিশ স্ট্রংগার ইন ইউরোপ ব্যাটেল বাস’ নামক প্রচারণার উদ্বোধন করেন। যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকা নিয়ে আগামী ২৩ জুন দেশটিতে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে কয়েকদিন আগে বিরোধিতা করা ক্যামেরনের মুখে সাদিক খানেরই প্রশংসা শুনে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষের শিবির বলছে, এ ঘটনাই প্রমাণ করে যে ক্যামেরনকে বিশ্বাস করা যায় না। লন্ডনের মেয়র নির্বাচন চলাকালে সাদিকের ‘বিচার ক্ষমতা দুর্বল’ বলে তার সমালোচনা করেছিলেন ক্যামেরন।
এরপরও কেন ক্যামেরনের সঙ্গে ইইউ’য়ে থাকা না থাকা নিয়ে প্রচারণা- এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র সাদিক বলেন, ‘এমন অনেক কিছুই আছে যেখানে প্রধানমন্ত্রী এবং আমি একমত হতে পারব না। তবে যেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হল, যখন বিষয়টায় লন্ডনবাসীদের ভাল-মন্দ জড়িত তখন মেয়র এবং সরকার একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে।’ এদিকে ইইউতে থাকার পক্ষে অবস্থান নিলেও লেবার পার্টির প্রধান জেরেমি করবিন ক্যামেরনের সঙ্গে প্রচারণা চালাতে অস্বীকৃতি জানান।