সিরিয়ায় সীমিত পরিসরে সামরিক অভিযানের চিন্তা ওবামার
সিরিয়ায় সীমিত পরিসরে সামরিক অভিযানের চিন্তা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি জানিয়েছেন, দামেস্কে রাসায়নিক হামলার জবাবে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো না নিলেও তারা সীমিত আকারে এমন সামরিক অভিযানের কথা ভাবছেন, যাতে সেখানে কোনো সৈন্য পাঠাতে হবেনা।
ওবামা বলেন, রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার মূলত বিশ্বের প্রতি ছুঁড়ে দেয়া সিরিয়ার একটি চ্যালেঞ্জ যা মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি। তিনি বলেন, আমরা আগ্রহী সবার সাথেই আলোচনা করেছি। কোনো অবস্থাতেই সেখানে আমাদের সৈন্যদের বুটের পাড়া পড়বে না এবং এটা কোনো দীর্ঘমেয়াদি কর্মকাণ্ড হবেনা। আমরা সীমিত পরিসরে একটি পদক্ষেপ নিতে চাই, যাতে করে বিশ্বের সব দেশ বুঝতে পারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়। তবে সিরিয়া বলছে যুক্তরাষ্ট্র আসলে সামরিক হামলার যৌক্তিকতা দেখাতে তথ্য ও প্রমাণ বিকৃত করছে।
গত সপ্তাহে দামেস্কে রাসায়নিক অস্ত্রের হামলার ঘটনার পেছনে মূলত সিরিয়ার সরকারই যে দায়ী- সে বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ওই হামলার জন্য সিরিয়ার সৈন্যরা তিনদিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিল। এতে এক হাজার চারশ’রও বেশি লোক নিহত হন যার মধ্যে চার শতাধিক শিশু ছিল।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, জাতিসঙ্ঘের অস্ত্র পরিদর্শকরা বিশ্বকে তেমন কোনো নতুন তথ্য দিতে পারবে না। যে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে তার সমুচিত জবাব না দেয়া হলে এ ঘটনা অন্যান্য দেশ যেমন ইরান বা উত্তর কোরিয়ার মতো দেশকে গণবিধ্বংসি অস্ত্র ব্যবহারে উৎসাহিত করবে বলে কেরি মন্তব্য করেন। কেরির বক্তব্যকে পুরো মিথ্যা বলে দাবী করে সিরিয়া আবারো বলেছে ওই হামলা বিদ্রোহীদের কাজ। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানায়, কেরি যে গোয়েন্দা প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেছে তা আসলে পুরনো গল্প এবং এসব গল্প সন্ত্রাসীরা এক সপ্তাহ আগেই ছড়িয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে স্বাস্থ্যকর্মী, প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান, সাংবাদিক, ভিডিও চিত্র এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের হাজারো প্রতিবেদনের সমন্বয়ে তাদের এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।