জেদ্দায় ঐতিহাসিক বালাদ মেলা উৎসবের আমেজ সকলের মাঝে
পবিত্র মাহে রমযানের শুরুতে জেদ্দাস্থ ঐতিহাসিক বালাদ জেলায় অত্যন্ত সফলভাবে শুরু হয়েছে ‘বালাদ মেলা’। শুরুর দিনেই প্রায় বিশ হাজার মানুষের সমাগম ঘটে উৎসবে।
উৎসবের প্রতিপাদ্য ছিল ‘‘আমাদের রমযাদ এমনই ছিল’। এবারের উৎসবে অন্তত দশ লাখ দর্শনার্থীর সমাগম হবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা ।
মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ থাকছে ‘ফ্রাই-ডে মার্কেট’ নামের ৩শ’ দোকান শোভিত স্পেশাল বিপণী কেন্দ্র। আরবাঈন হ্রদ এবং জুফালি মসজিদ সংলগ্ন এলাকাস্থ সৌদী উদ্যোক্তাদের ঘরে তৈরি নিত্যপণ্য সামগ্রী দিয়ে সাজানো হয়েছে এসব দোকান ও বিক্রয় কেন্দ্র। ঐতিহাসিক জেদ্দা উৎসব নামে খ্যাত মেলাটির ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং শিল্পপণ্য তৈরির সাথে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর সাহায্যার্থে সারাবছর এটি চালু রাখার আশা করছেন আয়োজকরা।
আয়েশা আনজি নাম্মি জনৈকা দর্শনার্থী জানান, তিনি প্রতিবছরই মেলা পরিদর্শনে আসেন এবং পবিত্র রমযানে আয়োজিত মেলা থেকে বিশেষ কিছু ব্যতিক্রমি ভাললাগা অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
মেলা কমিটির পরিচালক আব্দুল্লাহ আল-দাউয়ি বলেন, চলতি বছর মেলায় ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন থাকবে। যেমন : লোকনৃত্য, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, লোকশিল্প, জনপ্রিয় রান্নাবান্না, প্রাচীন স্থাপত্য-শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থাপনার ছবির প্রদর্শনীসহ আরও নানান আয়োজন।
তিনি বলেন, দু’টি পৃথক জায়গায় এবারের মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুরো উৎসবস্থল জুড়ে দৃষ্টিনন্দন রঙ-বেরঙের ঝাড়বাতি, ইলেক্ট্রিক আলোকসজ্জা এবং রমযানের তাৎপর্যবহ উৎকীর্ণ পোস্টার ফেস্টুন, চমৎকার আলোর ঝলকানি সমৃদ্ধ নানান রঙের ফলক দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।
আল-দাউয়ি বলেন, বর্তমান উৎসবের আয়োজক কমিটি দেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতি, সাহিত্য এবং আরব্য ও ইসলামী ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধারণ ও উচ্চকিত করার দিকেই বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। প্রতিদিন তারাবিহ সালাতের পরপরই মেলা অঙ্গন খুলে দেয়া হয়। ভোররাত ২টা পর্যন্ত সকল শ্রেণী-পেশা এবং সমাজের সর্বস্তরের লোকদের জন্য মেলা উপভোগের জন্য উন্মুক্ত থাকে।